মাছ মুরগিতে ‘বিষাক্ত পুষ্টি’
বাজারে বিক্রি হওয়া হাঁস-মুরগি ও মাছের খাদ্য (পোল্ট্রি-ফিশ ফিড) খাওয়ানো মুরগি কেটে এর রক্ত, মাংস, হাড়, কলিজা, মগজ ও চামড়া আলাদাভাবে পরীক্ষা করে আঁতকে উঠেছেন গবেষকরা। প্রথম দফায় এক মাস এসব খাদ্য খাওয়ানোর পরে এবং দ্বিতীয় দফায় আরেক মাস খাদ্য খাওয়ানোর পরে পরীক্ষা করে যে ফলাফল পাওয়া গেছে তা রীতিমতো ভয়ংকর। এসব মুরগির মাথার মগজে সর্বোচ্চ পরিমাণ ক্রোমিয়াম পাওয়া যায়। ক্রোমিয়াম হলো এক ধরনের ভারী ধাতু, মানবদেহে যার সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রা হলো প্রতিদিন ২৫ পিপিএম বা মাইক্রোগ্রাম। এর বেশি হলে বেশিটুকু শরীরে জমা হতে থাকবে এবং একপর্যায়ে প্রাণঘাতী রোগ সৃষ্টি করবে। কিন্তু পরীক্ষায় এক মাস খাদ্য খাওয়া মুরগির মগজে পাওয়া যায় ৭৯৯ পিপিএম এবং দুই মাস খাদ্য খাওয়া মুরগির মগজে (প্রতি কেজিতে) পাওয়া যায় চার হাজার ৫৬১ পিপিএম। এ ছাড়া মাংসে যথাক্রমে ২৪৪ ও ৩৪৪, চামড়ায় ৫৫৭ ও ৩২৮, হাড়ে এক হাজার ১১ ও এক হাজার ৯৯০, কলিজা বা লিভারে ৫৭০ ও ৬১১ এবং রক্তে ৭১৮ ও ৭৯২ পিপিএম ক্রোমিয়াম পাওয়া যায়। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই মাত্রা মানবদেহের জন্য অসহনীয়।
শীর্ষ পর্যায়ের আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা সাময়িকী আইজেসিএসইআইইআরডি (ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব সিভিল, স্ট্রাকচারাল, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) গত আগস্ট মাসে এ-সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করে। গবেষণাটি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল হোসেন ও জুবায়ের হাসান।
জানতে চাইলে গবেষক অধ্যাপক আবুল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা গবেষণাকালে রাজধানীর ফুলবাড়িয়া, বঙ্গবাজার চানখাঁরপুল এলাকা এবং হাজারীবাগের ট্যানারি এলাকার পোল্ট্রি ফিডের কারখানা থেকে সরাসরি এসব খাদ্য কিনে মুরগিকে খাইয়েছি। এ ছাড়া গবেষণায় ট্যানারির চামড়া সংরক্ষণের জন্য ক্রোমিয়াম ছিটানোর পর সেই চামড়ার বর্জ্য পরীক্ষা করে প্রতি কেজিতে ১৪ হাজার মিলিগ্রাম ক্রোমিয়াম পেয়েছি। একইভাবে ওই ট্যানারির বর্জ্য থেকে উৎপাদিত মুরগির খাদ্যে প্রতি কেজিতে আট হাজার মাইক্রোগ্রাম ক্রোমিয়ামের উপস্থিতি পেয়েছি।’
এই রসায়নবিদ দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করে বলেন, ‘অসহনীয় মাত্রার এসব ক্রোমিয়াম মুরগির মাংস বা ডিম হয়ে মানবদেহে প্রবেশ করছে। কারণ আমরা সাধারণত মাছ-মাংস সর্বোচ্চ ১৫০-২০০ ডিগ্রির তাপমাত্রায় রান্না করে খাই। কিন্তু হেভি মেটাল (ভারী ধাতু) হিসেবে ক্রোমিয়ামের অবস্থান এতই বিপজ্জনক যে তা নষ্ট করতে কমপক্ষে দুই হাজার সাত ডিগ্রি তাপমাত্রা প্রয়োজন।’ মুরগি বা ডিম ছাড়াও বিভিন্ন খামারের মাছেও এই ধরনের প্রভাব রয়েছে বলে এই গবেষক জানান।
এর আগে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ‘ইম্প্রুভিং ফুড সেফটি অব বাংলাদেশ’ কার্যক্রমের এক গবেষণায় চাষের মাছের মধ্যে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এর মধ্যে কিছু অ্যান্টিবায়োটিকও ছিল।
ইম্প্রুভিং ফুড সেফটি অব বাংলাদেশের সিনিয়র ন্যাশনাল অ্যাডভাইজর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহ মনির হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, মাছ ও মুরগির খাদ্যে বিষাক্ত রাসায়নিক থাকলে কিংবা মাছ-মুরগিতে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হলে তা যখন মানুষ খাবে, তখন মানুষের শরীরেও এগুলো ছড়িয়ে যাবে।
কেবল ওই গবেষণাই নয়, সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পুষ্টি ইউনিটের এক গবেষণায়ও বেরিয়ে এসেছে এমন ভয়ংকর চিত্র। তবে সব খামারে বিষাক্ত খাদ্য ব্যবহার না হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঘটছে এটা। আর এ পরিস্থিতির মধ্যেই মাছ উৎপাদনে ‘বিপ্লব’ ঘটেছে বাংলাদেশে। একইভাবে হাঁস-মুরগি উৎপাদনেও বহুদূর এগিয়েছে দেশ। গর্ব করে বলা হচ্ছে, দেশবাসীর ৭০-৮০ শতাংশ পুষ্টির চাহিদা মিটছে এই মাছ-মাংস থেকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পুষ্টির জন্য মানুষের অনেক ধরনের খাদ্যই দরকার। এর মধ্যে কোনো কোনো ধরনের রাসায়নিকও থাকতে পারে। কিন্তু মূল কথা হচ্ছে মাত্রা পরিমাপ। সহনীয় মাত্রার উর্ধ্বে গেলেই তা মানুষের শরীরের জন্য বিপদ বয়ে আনবে। আর মাত্রাতিরিক্ত কোনো রাসায়নিক হলেই দেখা দেয় বিষক্রিয়া। তাই বিষাক্ত কোনো খাদ্য খেয়ে পুষ্টিগুণের চেয়ে বেশি ভয়ানক পরিণতি হতে পারে মানুষের অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনি ও লিভারের রোগের ব্যাপক বিস্তারের জন্য দায়ী করা হয় অনিরাপদ খাদ্য বা খাদ্যে বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদানকে।
অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত মানবদেহে ক্রোমিয়ামের সহনীয় সর্বোচ্চ মাত্রা হচ্ছে ২৫ মাইক্রোগ্রাম প্রতিদিন। তবে খাদ্য উপযোগী মুরগির মাংসে ইউরোপিয়ান ফুড সেফটি অথরিটির অনুমোদিত মাত্রা হচ্ছে পূর্ণবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে মাত্র ১০-৭০ মাইক্রোগ্রাম আর শিশুদের ক্ষেত্রে মাত্র দশমিক ২ থেকে ১৫ মাইক্রোগ্রাম।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে মানুষের পুষ্টির উৎসমূলে নিরাপদ খাদ্যের সংশয় কাটছে না। নানান গবেষণায় বারবারই উঠে আসে মাছ-মাংসসহ বিভিন্ন খাদ্য থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়া নানা বিষের বিষয়টি। বিশেষ করে মাছ ও মুরগির খাদ্য হিসেবে অনেক খামারে ব্যবহার করা হয় নানা বিষাক্ত রাসায়নিকযুক্ত খাবার। এ ছাড়া মানুষের জন্য ক্ষতিকর নানা হরমোন বা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রয়োগ করা হয় মাছ ও মুরগির শরীরে, যা আগুনের তাপে নষ্ট না হওয়ায় ওই মাছ ও মাংসের মাধ্যমে তা ঢুকে পড়ে মানবদেহে। একপর্যায়ে মানুষ আক্রান্ত হয়ে পড়ে ক্যান্সার, হৃদরোগ, গ্যাসট্রিক আলসারে। বিকল হয়ে পড়ে কিডনি ও লিভার। শেষ পরিণতি হিসেবে মানুষ ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার পর এবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পুষ্টি ইউনিটের পরিচালক ড. মো. মনিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে গত মাসে এক পরীক্ষায় মাছের জন্য তৈরি খাদ্যে (প্রতি কেজিতে) চার হাজার ৯৭১.১৫ পিপিএম এবং মুরগির খাবারে চার হাজার ২০৫.৭০ পিপিএম ক্রোমিয়াম পাওয়া গেছে। বিষয়টি অবহিত হয়ে গত শুক্রবার ওই মাছ ও মুরগির খাদ্য উৎপাদনকারী কারখানায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে র্যাবের বিশেষ টিম।
ড. মো. মনিরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ক্রোমিয়ামের সহনীয় মাত্রা মাত্র ২৫ পিপিএম হলেও আমরা মাঝেমধ্যেই পরীক্ষায় এমন বিপজ্জনক মাত্রা পেয়ে থাকি। এমন বিপজ্জনক মাত্রার ক্রোমিয়ামযুক্ত মাছ বা মুরগির মাংস কিংবা ডিম খেয়ে দেশের মানুষের পুষ্টি জোগানোর ভয়াবহ একপর্যায়ে রয়েছি, যাকে এক ধরনের ‘বিষাক্ত পুষ্টি’ বলা যায়।
তিনি জানান, গত ২৭ নভেম্বর আলাদা করে মাছ ও মুরগির খাদ্যের দুটি স্যাম্পল পরীক্ষা করে তাঁরা ওই বিষাক্ত রাসায়নিকের (মাত্রাতিরিক্ত ক্রোমিয়াম ও সিসা) উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছেন।
র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম আনোয়ার পাশা কালের কণ্ঠকে জানান, রাজধানীর হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ এলাকায় ৪২/৮/ক সোনাতনগড়ে হাইপো ফিড কারখানায় র্যাবের অভিযানকালে ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য মিশিয়ে মুরগি ও মাছের খাবার তৈরির অপরাধে দুজনকে তাৎক্ষণিকভাবে দুই বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
অভিযানে র্যাবের পক্ষে নেতৃত্ব দেওয়া র্যাব-২-এর উপপরিচালক ড. মো. দিদারুল আলম বলেন, এ এলাকায় আর কোনো কারখানা যাতে ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে ফিশ বা পোলট্রি ফিড তৈরি করতে না পারে এ বিষয়ে র্যাবের তৎপরতা অব্যাহত রাখা হবে। অভিযানে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ডা. মো. লুৎফর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ম্যাজিস্ট্রেট ও র্যাবের উপস্থিতিতে হাইপো ফিড কারখানার বর্তমান পরিচালক সাইফুল বলেন, ‘ট্যানারি থেকে চামড়ার বর্জ্য নিজেদের কারখানায় এনে সিদ্ধ করে ছাদে শুকিয়ে শুঁটকি বানানো হয়। এ শুঁটকি কখনো কখনো ১৭ টাকা কেজি হিসেবে পাইকারি দরে বিক্রি করা হয়। আবার কখনো নিজেরাই গুঁড়ো করে মুরগি বা মাছের খাদ্য তৈরি করি।’
মাছ বা মুরগির খাদ্যে বিষাক্ত ট্যানারির বর্জ্য ব্যবহারের কারণ জানতে চাইলে সাইফুল বলেন, ‘উন্নতমানের খাদ্য প্রতি কেজি ৪৫ টাকা করে বাজারে বিক্রি হয়। ট্যানারির বর্জ্য মিশ্রিত খাদ্যের প্রতি কেজির দাম পড়ে মাত্র ৩০ টাকা।
এদিকে ট্যানারিতে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে যুক্ত সূত্রগুলো জানায়, চামড়া প্রক্রিয়াজাতের সময় বিভিন্ন ধাপে প্রায় ২০ ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে ক্রোমিয়াম অন্যতম। চামড়ার ওপরের অংশ মসৃণ হলেও ভেতরের চর্বিযুক্ত অংশ অমসৃণ হওয়ায় মেশিনের মাধ্যমে তা চাঁছা হয়। তখন যে গুঁড়া বা পাতলা অংশ উচ্ছিষ্ট হয় তা ঝুট হিসেবে ট্যানারিগুলো বিক্রি করে দেয়। এ ঝুট কেমিক্যালযুক্ত। এতে প্রচুর পরিমাণে ভারী মৌল ক্রোমিয়াম থাকে।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, হাজারীবাগে প্রতিদিন প্রায় ২১ হাজার ৬০০ কিউবিক মিটার বিষাক্ত বর্জ্য বের হয়। এর মধ্যে ক্রোমিয়াম, সালফার, অ্যামোনিয়ামসহ নানা রাসায়নিক পাওয়া যায়।
আরেক গবেষণা সূত্রে জানা যায়, হাজারীবাগে ৬০টির বেশি কারখানা থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩০ টনের বেশি মাছ ও মুরগির খাদ্য উৎপাদন হয়, যা সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খামারে ছড়িয়ে পড়ে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, ক্রোমিয়াম থেকে কেবল ক্যান্সার, হৃদরোগ, আলসার, কিডনির রোগই নয়, মানবদেহে অতিরিক্ত ক্রোমিয়াম প্রবেশ করলে পুরুষত্বহীনতা, অকাল প্রসব, বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগও হয়ে থাকে। আবার যারা ট্যানারির বর্জ্য নিয়ে নানা প্রক্রিয়াজাতকরণে যুক্ত তাদেরও এসব রোগের ঝুঁকি খুব বেশি মাত্রায় রয়েছে।
র্যাবের অভিযানে ধরা পড়া হাজারীবাগের হাইপো ফিড কারখানার বর্তমান পরিচালক সাইফুল জানান, ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য নিয়ে কাজ করতে করতে এ কারখানার মূল মালিক খলিল নিজেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। ছয় মাস ধরে তিনি কারখানায় আসেন না।
প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সব মুরগি, ডিম ও মাছ যে ক্ষতিকর, তা নয়। যেসব খামারে উন্নতমানের ফিড ব্যবহৃত হয় অর্থাৎ ট্যানারির বর্জ্য ব্যবহৃত হয় না, সেসব খামারে উৎপাদিত মুরগি বা মাছে সহনীয় মাত্রায় ক্রোমিয়াম থাকায় তা ঝুঁকিপূর্ণ নয়। দেশে অনেক মানসম্মত ফিড কারখানা গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের গবেষণায় তা প্রমাণিত হয়েছে। তাই ঢালওভাবে সব মুরগি ও মাছ ক্ষতিকর তা বলা যাবে না এবং যাতে সাধারণ মানুষ অতিমাত্রায় উদ্বিগ্ন না হয়ে পড়ে এবং সংশ্লিষ্ট শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম আনোয়ার পাশা বলেন, গুটি কয় অসাধু ব্যবসায়ীর অপতৎপরতা বন্ধ করতে ট্যানারিসংলগ্ন এলাকায় তদারকি বৃদ্ধি এবং ট্যানারি মালিকরা যাতে ট্যানারির বর্জ্য বিক্রি না করে পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করেন সে বিষয়টি নিশ্চিত করলে এ অসাধু তৎপরতা বন্ধ হবে।
বাংলাদেশ পোলট্রি শিল্প অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডা. এম এম খান কালের কণ্ঠকে বলেন, সব পোলট্রি ফিডই ঝুঁকিপূর্ণ নয়। যারা অবৈধভাবে ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে পোলট্রি ফিড তৈরি করে কেবল সেগুলোতেই সমস্যা থাকতে পারে।
আমি সব সময় এমন খবর জানতে চাই