গরমকালে ব্যায়াম করতে যে ৮ টি বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন
শরীরকে সুস্থ রাখতে হবে সারা বছর জুড়েই। এমন তো নয় যে শুধু শীতকালে ব্যায়াম করলে সারা বছর আর ওমুখো হতে হবে না। শীতের মতো গরমেও ব্যায়াম করে চলতে হবে। তবে এ সময়ে উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে অনেকেই ব্যায়াম করতে ভয় পান। কিছু ছোটখাটো ব্যাপারে জানা থাকলে এবং কিছু নিয়ম মেনে চললেই চৈত্রের এই গরমেও ব্যায়াম করতে কোনো অসুবিধে হবে না আপনার। জেনে নিন এই বিষয়গুলো।
শরীরকে বেশি কষ্ট দেবেন না
এ সময়ে মাত্রাতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে শরীর থেকে অনেক পানি ও লবণ বের হয়ে যায়। ফলে দেখা দিতে পারে দুর্বলতা, পেশীতে খিঁচ ধরা, পানিশূন্যতা, মাথাব্যাথা এবং উচ্চ হৃৎস্পন্দন। দেখা যেতে পারে হিট স্ট্রোকের লক্ষন। তাই বেশি ক্লান্ত হয়ে যাবার আগেই ব্যায়াম সেরে ফেলুন। কোনো রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের সাথে কথা বলে জেনে নিন কতটুকু ব্যায়াম করা উচিৎ আপনার। তাপমাত্রা অসহনীয় মনে হলে বাসার ভেতরে বা জিমের ভেতরে ঠাণ্ডা পরিবেশ ব্যায়াম করুন।
আপনার ত্বককে নিরাপদ রাখুন
এ সময়ে রৌদ্রে বের হলে ত্বকের অনেক ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে। যে সময়েই হাঁটতে বা দৌড়াতে বের হন না কেন, সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন। তেলবিহীন হলে ভালো, কারণ তাহলে বেশি গরম লাগবে না। সানগ্লাস, ফুলহাতা জামাকাপর, একটা চওড়া কানাওয়ালা টুপি – এসব আপনার কাজে আসতে পারে।
পানি পান করুন বেশি করে
ব্যায়াম শুরুর আগে শরীরের পানির প্রয়োজন মিটিয়ে নিন। সাথেও রাখুন ঠাণ্ডা পানি এবং কিছুক্ষণ পরপর পানি পান করুন। এক ঘণ্টার বেশি ব্যায়াম করলে পানিতে স্যালাইন মিশিয়ে নিন।
সময় বুঝে ব্যায়াম করুন
ভোর সকাল এবং সন্ধ্যা বেলায় গরম, আর্দ্রতা এবং বাতাসের দূষণ সবচাইতে কম থাকে। এসব সময়েই ব্যায়াম সেরে নেওয়া ভালো। রোদ এড়িয়ে চলুন।
পরুন আরামদায়ক পোশাক
সুতি কাপড় আরামদায়ক হলেও ব্যায়ামের জন্য তা খুব বেশি কার্যকর হয় না এই সময়ে। ঘাম শুষে নিয়ে একেবারে চিটচিটে হয়ে যায় সুতি কাপড়। অর্ধেক সুতি এবং অর্ধেক পলিয়েস্টার মেশানো পোশাক পরতে পারেন যাতে শরীরে ঘাম লেগে না থাকে।
ধীরে শুরু করুন
নিজের শরীরকে গরম আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নেবার অস্ময় দিন। প্রথম কয়েকদিন একটু কম সময় ব্যায়াম করুন। এরপর ধীরে ধীরে সময় বাড়িয়ে নিন।
তাপমাত্রার অতিরিক্ত ওঠানামা এড়িয়ে চলুন
কাঠফাটা গরমে জগিং করে এসেই এসির বরফ ঠাণ্ডা বাতাসের নিচে বসবেন না। শরীর একটু ঠাণ্ডা না করে আগেই থান্দ আশাওয়ারে গিয়ে ঢুকবেন না। আগে শরীরকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নিয়ে এসে তারপরেই ঠাণ্ডা বাতাস বা পানির সংস্পর্শে আসুন।
সাঁতার কাটুন
সাঁতার কেটে ব্যায়াম করার জন্য গরমকালটা একেবারে যুতসই। তাতে ব্যায়ামও হলো, গরমও লাগলো না। তবে সাঁতার কাটার সময়ে শরীর যতই ঠাণ্ডা থাকুন না কেন, পানি পান করতে ভুলে যাবেন না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন