হার্নিয়া রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা – Hernia treatment in Homeopathy
হার্নিয়াঃ
যদি কোন কারণে পেটের অভ্যন্তরে চাপের পরিমাণ বেড়ে যায় (Increase Internal pressure), তাহলে আমাদের অন্ত্রের (Intestinal) বিভিন্ন অংশ ঐ চাপে স্থানচ্যূত হয়ে সেই দুর্বল যায়গা দিয়ে প্রবেশ(penetrate) করে ফেলে তখন নাভী, উদর (Abdomen) ও উরুর সংযোগস্থল (Inguinal region), অণ্ডকোষ (Testes) ইত্যাদি এলাকা ফুলে ওঠে। এটিই হল হার্নিয়া।
কেন উদর অভ্যন্তরের চাপ বৃদ্ধি পায়?
* পুরনো কাশি (Chronic cough)
* হাঁচি (Sneezing)
* কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation)
* প্রোস্টেটগ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়া (Enlarge prostrate gland)
* প্রেগনেন্সি (Pregnancy) ইত্যাদি
প্রকারভেদঃ
ইঙ্গুইনাল হার্নিয়া (Inguinal Hernia):
এই ধরনের হার্নিয়ায় অন্ত্রের অংশবিশেষ (Parts of intestine) উদর ও উরুর সংযোগস্থলে ইঙ্গুইনাল অঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করে। তখন উদর ও উরুর সংযোগস্থল ফোলা মনে হয়।
ইঙ্গুইনো-স্ক্রোটাল(Inguino-scrotal):
এধরনের হার্নিয়া ইঙ্গুইনাল হার্নিয়াতে কোন ব্যবস্থা না নিলে হয়ে থাকে। তখন অন্ত্রের অংশবিশেষ নামতে নামতে একেবারে অন্ডকোষে (Testes) এসে প্রবেশ করে(Enter), ফলে অন্ডথলি (Scrotum) ফুলে যায়।
ফিমোরাল হার্নিয়া(Femoral Hernia):
ফিমোরাল হার্নিয়া সাধারনত মহিলাদের হয়। এক্ষেত্রে উরুর ভেতরের দিকে স্ফিতি দেখা দেয়।
আম্বিলিকাল হার্নিয়া(Umbilical Hernia):
এক্ষেত্রে নাভির চারপাশ(Around Naval) বা একপাশ ফুলে ওঠে।
ইনসিসনাল হার্নিয়া(Incisional Hernia):
উদরের পূর্বে অপারেশন (Previous operation area) করা হয়েছে এমন অঞ্চলে ইনসিসনাল (Incisional) হার্নিয়া হয়। কেননা অপারেশনের ফলে সেই অঞ্চল খানিকটা দুর্বল হয়ে পড়ে।
হার্নিয়ার লক্ষণঃ
* কুঁচকি বা অন্ডথলি (Scrotum) ফুলে যাওয়া।
* নাভির (Naval) আশপাশ ফুলে যাওয়া।
* উরুর গোড়ার ভেতর (Inguinal region) দিক ফুলে যাওয়া।
* পেটে পূর্বে অপারেশন (Operation area) করা হয়েছে এমন স্থান ফুলে যাওয়া।
জটিলতাঃ
* প্রচন্ড ব্যাথা (Severe headache)
* বমি ভাব (Nausea)
* বমি (Vomiting)
* মল ত্যাগে অসুবিধা (Difficulty evacuation)
* হার্নিয়ার চিকিৎসায় বিলম্ব (Late stage of treatment) হলে আটকে যাওয়া খাদ্য নালীর রক্ত(Blood circulation) সরবরাহ ব্যাহত করে গ্যাংগ্রিন (Gangrene) ঘটাতে পারে।
* পেরিটোনাইটিস (Peritonitis)
* সেফটিসেমিয়া (Septicemia)
* শক (Shock)
* মৃত্যুও(Death) হতে পারে।
রোগ নির্ণয়ঃ
সাধারণ শারীরিক পরীক্ষায় মাধ্যমে ইন্টেস্টইনাল হার্নিয়া (Intestinal hernia) নির্ণয় করা হয়। আপনার চিকিৎসক আপনাকে আপনার উপসর্গগুলো জানতে চাইবেন, তারপর কুঁচকি (Inguinal hernia) এলাকায় ফোলাটা (Swelling) পরীক্ষা করে দেখবেন। যেহেতু কাশি দিলে হার্নিয়া অধিক স্পষ্ট হয়ে দেখা দেয়, তাই কাশি (Coughing) দেয়াটাও আপনার পরীক্ষার একটা অংশ হতে পারে।
প্রতিরোধঃ
স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুনঃ
যদি আপনার ওজন স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে বেশি থাকে (Over weight), তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ (Consult) মতো ব্যায়াম ও খাদ্যগ্রহণ করুন। উচ্চ আঁশসমৃদ্ধ খাবার খান। টাটকা ফলফূল ও শাক-সবজি এবং সম্পূর্ণ খাদ্যশস্য আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
ভারী বস্তু উত্তোলনে সতর্ক হোনঃ
পারতপক্ষে ভারী বস্তু উত্তোলন করবেন না। যদি একান্তই উত্তোলন করতে হয় তাহলে সর্বদা হাঁটু ভাঁজ করে শুরু করবেন, কখনো কোমর (Waist) বাঁকাবেন না।
ধূমপান বন্ধ করাঃ
ধূমপান মারাত্মক রোগ যেমন ক্যান্সার (Cancer), এমফাইসেমা (Emphysema) ও হ্নদরোগের ঝুঁকি (Risk) বাড়াতে পারে। এ ছাড়া ধূমপান সচরাচর দীর্ঘস্থায়ী কাশির সৃষ্টি করে, যা ইনগুইনাল হার্নিয়া (Inguinal) সৃষ্টিতে উৎসাহ জোগায়।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ
রবিন মার্ফি’র রেপার্টরী হার্নিয়া আরোগ্য সহায়ক ওষুধসমূহের নাম তুলে ধরা হলোঃ
১ম গ্রেডঃ লাইকোপোডিয়াম, নাক্স ভম।
২য় গ্রেডঃ এলিয়াম সেপা, এলোমিনা, এপিস মেল, অ্যাসারাম, অরাম, ক্যাল্কেরিয়া কার্ব, ক্যার্বো এনি, কার্বো ভেজ, ককোলাস, কফিয়া, ডিজিটালিস, ম্যাগ কার্ব, ম্যাগ এসিড, নাইট্রিক এসিড, অপিয়াম, রাস টক্স, সাইলিসিয়া, স্পাইজেলিয়া, এসিড সালফ, সালফার, ভেরেট্রাম, জিঙ্ক।
৩য় গ্রেডঃ ইস্কিউলাস হিপ, এমোন কার্ব, বার্বারিস, ক্যাল্কেরিয়া আর্স, ক্যাপসিকাম, ক্যামোমিলা, কলোসিন্থ, ল্যাকেসিস, ম্যাগ মিউর, মিলিফোলিয়াম, পেট্রোলিয়াম, ফসফরাস, সোরিনাম, সারসাপেরিলা, স্ট্যাফিস্যাগ্রিয়া, টেলুরিয়াম, থোজা।
সাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ে যে কোন প্রশ্ন থাকলে জানাতে পারেন !
ঔষধ এর জ্ন্য য়োগায়োগ করুন :
www.facebook.com/homeopathybd1 যে কোন প্রশ্ন আমাদের ফেসবুক পেজে করতে পারেন ।
Or
E-mail: homeopathybd@gmail.com
আপনার সমস্যার কথা লিখে পাঠান । ঔষধ পাঠিয়ে দেব কুরিয়ার করে ।
[বিঃদ্রঃ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধান ব্যতীত ওষধ সেবন করা উচিত নয়।]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন