Category Archives: কান্না

Crying of babies (শিশুদের কান্নাকাটি) ঃ- শিশুদের কান্নার চাইতে অধিকতর হৃদয়বিদারক কোন বিষয় আছে বলে আমার জানা নাই। এমনকি মহানবী (দঃ) কখনও মসজিদে শিশুদের কান্না শোনলে নামায পযর্ন্ত সংক্ষিপ্ত করে ফেলতেন। কেননা তিনি মনে করতেন, এক্ষেত্রে নামায দীর্ঘ করলে কান্নারত শিশুর পিতা-মাতার মানসিক প্রশান্তি নষ্ট হবে। অসহায় এবং বাকশক্তিহীন এই শিশুরা তাদের দুঃখ-কষ্ট-অসুবিধার কথা কান্নার মাধ্যমে জানাতে চেষ্টা করে; কান্নাই তাদের ভাষা।
সে যাক, বাহ্যত কোন কারণ ছাড়াই যদি শিশুরা কান্নাকাটি করে তবে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে, তার পেটব্যথা হচ্ছে। ক্যালশিয়াম জাতীয় খাবার পেটে গ্যাস বা এসিডের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। শিশুরা যেহেতু দুধ বেশি বেশি খায় এবং দুধে যেহেতু প্রচুর ক্যালশিয়াম আছে ; কাজেই ধরে নিতে পারেন শিশুদের পেটে এসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা থাকবেই। শিশুরা দিনে-রাতে যে-কোন সময়ে অকারণে কান্নাকাটি করলে বা খুব মেজাজ দেখালে Nux vomica দুয়েকটি বড়ি খাইয়ে দিন ; সাথে সাথে কান্নাকাটি বন্ধ হয়ে যাবে। যদি কান্নাকাটি বন্ধ করে আপনার বাচ্চা মুহূর্তের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ে তবে ভয় পাবেন না ! কারণ নাক্স ভমিকা আসলে ঘুমের জন্যও একটি ভালো ঔষধ। সাধারণত শিশুর মেজাজ কড়া না হলে নাক্সে কাজ হয় না ; কেননা নাক্স হলো প্রধানতঃ বদমেজাজি লোকদের ঔষধ।

Jalapa

যে-সব শিশুরা সারাদিন ভালো থাকে কিন্তু রাতে খুব কান্নাকাটি করে তাদেরকে Jalapa নামক ঔষধটি কয়েকবার খাওয়ান।

Calcarea carbonica – ক্যালকেরিয়া কার্ব

ক্যালকেরিয়া কার্বের রোগীদের পা দুটি থাকে ঠান্ডা, মাথা অর্থাৎ কপাল ঘামে বেশী, হাত দুটি থাকে নরম তুলতুলে, এদের ঘাম-পায়খানা-প্রস্রাব সবকিছু থেকে টক গন্ধ আসে এবং এদের স্বাস্থ্য থাকে থলথলে মোটা। ইহার সতর্কীকরণ লক্ষণ (aura) পেটের উপরের অংশে শুরু হয়ে উপরের দিকে ছড়াতে থাকে অথবা তলপেটের দিকে ছড়াতে থাকে এবং ইহার পরই খিচুঁনি শুরু হয়। কখনও কখনও মনে হয় হাতের ওপর একটি ইদুর দৌড়াচ্ছে।

Calcarea carbonica – যারা দীর্ঘদিন রোগে ভোগে বা অতিরিক্ত পরিশ্রম করে ভগ্নস্বাস্থ্য হয়ে পড়েছেন, যারা উচুঁ জায়গাকে ভয় পান, যারা সর্বদা ভয়ে থাকেন যে সামনে বিরাট বিপদ আসন্ন, তাদের এঙজাইটিতে ক্যালকেরিয়া কার্ব প্রযোজ্য।

Calcarea carbonica – ক্যালকেরিয়া কার্ব নামক ঔষধটি হলো হোমিওপ্যাথিতে সবচেয়ে ভালো ভিটামিন। এটি ক্ষুধাহীনতা, অজীর্ণ, বদহজম, পেটের আলসার, ঘনঘন অসুখ-বিসুখ হওয়া, শারীরিক দুর্বলতা, স্মায়বিক দুর্বলতা, ব্রেনের দুর্বলতা, অপুষ্টি ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে পারে।

Calcarea carbonica – (মাসিক বন্ধ থাকা, ঋতুস্রাব না হওয়া) মোটা, স্থূলকায়, থলথলে শরীরের মেয়েদের ক্ষেত্রে ক্যালকেরিয়া কার্ব ভালো কাজ করে বিশেষত যদি সাথে কিছুটা রক্তশূণ্যতাও থাকে। এদের মাথা সহজেই ঘেমে যায়, অল্পতেই বুক ধড়ফড় করে এবং মাথা ব্যথা অথবা কাশি সারা বছর লেগেই থাকে।

Calcarea carbonica – অনেক শিশু ঘুমের ভেতরে গোঙাতে থাকে এবং চীৎকার করতে থাকে, এদেরকে Calcarea carbonica নামক ঔষধটি (শক্তি ২০০) এক মাত্রা খাওয়ান। শিশু একটু বড় হলে এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকলে ১০০০ (1M) অথবা ১০,০০০ (10M) শক্তিতে একমাত্রা খাওয়াতে পারেন।

Calcarea carbonica : যাদের কৃমির সমস্যা খুব বেশী, কিছুদিন পরপরই ঔষধ খেতে হয় ; তারা (কয়েক সপ্তাহ) ক্যালকেরিয়া কার্ব খেলে ঘন ঘন কৃমি হওয়ার অভ্যাস চলে যাবে।

Calcarea carbonica : বাচ্চার দাঁত পড়েছে কিন্তু এখনো দাঁত উঠছে না? তাহলে Calcarea carb 10M ঔষধটি একদিন খাওয়াবেন ১ ফোটা অথবা ৫ বড়ি ।

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Teucrium Marum verum – টিউক্রিয়াম

পেটে ব্যথার সাথে যদি মুখে পানি উঠতে থাকে, তবে কৃমির ঔষধ খাওয়া উচিত (যেমন- টিউক্রিয়াম)।

Teucrium : শিশুদের কান্নাকাটির কারণ থাকতে পারে পায়খানার রাস্তায় সুতাকৃমির উৎপাত। এজন্য পায়খানার রাস্তা যতটা সম্ভব ফাঁক করে দেখতে পারেন সুতাকৃমি দেখা যায় কিনা অথবা পায়খানা করে সময় খেয়াল রাখবেন পায়খানার সাথে কোন ধরনের কৃমি যায় কিনা । কৃমি পাওয়া গেলে Teucrium নামক ঔষধ দুটির যে-কোনটি রোজ দুইবেলা করে তিনদিন খাওয়ান।

Teucrium Marum verum : গুড়া কৃমি বা সুতা কৃমির সবচেয়ে ভালো এবং নিরাপদ ঔষধ হলো টিউক্রিয়াম। পায়খানার রাস্তায় ভীষণ চুলকানি থাকে।

Colocynthis – কলোসিন্তু

পেটের ব্যথা যদি শক্ত কোন কিছু দিয়ে পেটে চাপ দিলে অথবা সামনের দিকে বাঁকা হলে কমে যায়, তবে কলোসিন্তু আপনাকে সেই ব্যথা থেকে মুক্ত করবে। কলোসিনে’র ব্যথা ছুরি মারার মতো খুবই মারাত্মক ধরণের। পেটের নাড়ি-ভূড়িকে মনে হবে কেউ যেন দুটি পাথর দিয়ে পিষতেছে।

Colocynthis: (যদি পেটে চাপ দিলে ব্যথা কমে) এবং Dioscorea (যদি পেটে চাপ দিলে ব্যথা বাড়ে) ঔষধ দুটির যে-কোনটি কিছুক্ষণ পরপর খাওয়াতে থাকুন। হ্যাঁ, শিশু যদি খুবই ছোট হয় যেমন দুয়েক দিন থেকে দু’য়েক মাস বয়স, তাদেরকে ঔষধ না খাইয়ে বরং তাদের মাকে খাওয়ানোই যথেষ্ট (যদি তারা বুকের দুধ খায়)। প্রয়োজনে পানিতে গলিয়ে খাওয়াতে পারেন।

Lycopodium clavatum – লাইকোপোডিয়াম

লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রোগের মাত্রা বিকাল ৪-৮টার সময় বৃদ্ধি পায়, এদের রোগ ডান পাশে বেশী হয়, রোগ ডান পাশ থেকে বাম পাশে যায়, এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, এদের সারা বৎসর প্রস্রাবের বা হজমের সমস্যা লেগেই থাকে, এদের দেখতে তাদের বয়সের চাইতেও বেশী বয়ষ্ক মনে হয়, স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপ কিন্তু ব্রেন খুব ভালো, এরা খুবই সেনসিটিভ এমনকি ধন্যবাদ দিলেও কেদে ফেলে ইত্যাদি ইত্যাদি। উপরের লক্ষণগুলোর দু’তিনটিও যদি কোন রোগীর মধ্যে থাকে, তবে লাইকোপোডিয়াম তার কোষ্টকাঠিন্য সারিয়ে দেবে।

Lycopodium clavatum –   প্রস্রাবের সাথে যদি ইটের গুড়ার মতো পদার্থ যায়, তবে লাইকোপোডিয়াম খেতে হবে। এই ঔষধের অন্যান্য লক্ষণ হলো পেটে প্রচুর গ্যাস হওয়া, বিকেল ৪টা থেকে ৮টার সময় রোগের কষ্ট বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।

Lycopodium clavatum –   লাইকোপোডিয়াম ঔষধটি স্তনের আকার বৃদ্ধি করতে যথেষ্ট শক্তিশালী। এটি উচ্চশক্তিতে (শক্তি ১০,০০০) পনের দিনে একমাত্রা করে কয়েক মাত্রা খান। প্রয়োজনে আরো উচ্চশক্তিতে খেতে পারেন। সেবাল সেরুলেটার ফাঁকে ফাঁকেও খেতে পারেন।

Lycopodium : যে-সব শিশুরা সারাদিন কান্নাকাটি করে কিন্তু রাতে চুপচাপ থাকে তাদেরকে Lycopodium নামক ঔষধটি কয়েকবার খাওয়ান।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Lycopodium clavatum – লাইকোপোডিয়াম Germany

Lycopodium clavatum – লাইকোপোডিয়াম Switzerland

Thuja occidentalis – থুজা

খুসকির একটি মূল কারণ হলো টিকা (বিসিজি, ডিপিটি, এটিএস, পোলিও, হেপাটাইটিস, এটিএস ইত্যাদি) নেওয়া। টিকা নিলে কেবল খুসকিই হয় না বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে চুল পাতলা হয়ে যায় এবং পাতলা হতে হতে টাক পড়ে যায়। কাজেই কোন টিকা নেওয়ার দুয়েক মাস থেকে দুয়েক বছরের মধ্যে খুসকি দেখা দিলে প্রথমেই থুজা নামক ঔষধটি খেতে হবে। বিশেষ করে খুসকির সাথে যাদের শরীরে আঁচিলও আছে, তাদের প্রথমেই সপ্তাহে একমাত্রা করে কয়েক মাত্রা খুজা খেয়ে নেওয়া উচিত।

Thuja occidentalis – টিকা (vaccines) হলো হাঁপানি হওয়ার একটি সবচেয়ে বড় কারণ। যেমন-বিসিজি, ডিপিটি, হাম, পোলিও, এটিএস, হেপাটাইটিস ইত্যাদি ইত্যাদি। টিকা নেওয়ার কারণে হাঁপানি হলে সেক্ষেত্রে থুজা একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। সুতরাং যে-সব হাঁপানি রোগী অতীতে এসব অথবা অন্য কোন টিকা নিয়েছেন, তাদেরকে অবশ্যই ৫/৬ মাত্রা থুজা খাওয়াতে হবে। যারা শীত সহ্য করতে পারে না এবং উপর থেকে পড়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে, তাদের ক্ষেত্রে থুজা প্রযোজ্য। এটি ২০০ শক্তিতে দশ দিন পরপর খাওয়া উচিত।

Thuja occidentalis – টাকের একটি মূল কারণ হলো টিকা (বিসিজি, ডিপিটি, এটিএস, পোলিও, হেপাটাইটিস, এটিএস ইত্যাদি) নেওয়া। টিকা নিলে কেবল খুসকিই হয় না বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে চুল পাতলা হয়ে যায় এবং পাতলা হতে হতে টাক পড়ে যায়। কাজেই কোন টিকা নেওয়ার দুয়েক মাস থেকে দুয়েক বছরের মধ্যে খুসকি দেখা দিলে প্রথমেই থুজা নামক ঔষধটি খেতে হবে। বিশেষ করে খুসকির সাথে যাদের শরীরে আঁচিলও আছে, তাদের প্রথমেই কয়েক মাত্রা খুজা খেয়ে নেওয়া উচিত।

Thuja occidentalis – থুজা ব্রণের আরেকটি ভালো ঔষধ বিশেষত সেগুলো যদি টিকা নেওয়ার কারণে হয়ে থাকে।

Thuja occidentalis – শিশুদের কান্নাকাটি এবং বদমেজাজের একটি বড় কারণ হলো টিকা (vaccine) নেওয়া। সাধারণত বিসিজি, ডিপিটি, এটিএস, হাম, পোলিও, হেপাটাইটিস ইত্যাদি টীকা নেওয়ার কারণে শিশুদের কান্নাকাটি করার রোগ হয়। তারা দিনে-রাতে, কারণে-অকারণে কাঁদতে থাকে, কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির সবার ঘুম হারাম করে ফেলে। এজন্য Thuja occidentalis নামক ঔষধটি সপ্তায় এক মাত্রা করে ছয় সপ্তাহ খাওয়ান। থুজাতে পুরোপুরি না সারলে বিকল্প হিসেবে Silicea, Vaccininum, Sulphur ইত্যাদি নামক ঔষধগুলোও খাওয়াতে পারেন।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !