Bryonia alba – ব্রায়োনিয়ার

ব্রায়োনিয়ার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রোগীর ঠোট-জিহ্বা-গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে থাকে এবং প্রচুর পানি পিপাসা থাকে এবং রোগী অনেকক্ষণ পরপর একসাথে প্রচুর ঠান্ডা পানি পান করে। রোগী অন্ধকার এবং নড়াচড়া অপছন্দ করে ; কারণ এতে তার কষ্ট বৃদ্ধি পায়। কোষ্টকাঠিন্য দেখা দেয় অর্থাৎ পায়খানা শক্ত হয়ে যায়। রোগীর মেজাজ খুবই বিগড়ে থাকে এবং সে একলা থাকতে পছন্দ করে। কাশি দিলে মনে হয় মাথা এবং বুক টুকরো টুকরো হয়ে ছিঁড়ে যাবে।

Bryonia alba – ব্রায়োনিয়ার প্রধান লক্ষণ হলো পায়খানা হবে বড় বড় লম্বা লম্বা সাইজে, শুকনা, শক্ত এবং দেখতে পোড়াপোড়া। কোন কোন চিকিৎসা বিজ্ঞানীর মতে, শিশুদের, বদমেজাজী লোকদের এবং বাতের রোগীদের কোষ্টকাঠিন্যে এটি সবচেয়ে ভালো কাজ করে। যদি গলা শুকিয়ে থাকে এবং প্রচুর পানি পিপাসা থাকে, তবে ব্রায়োনিয়া প্রয়োগ করতে হবে। অনেক চিকিৎসা বিজ্ঞানী আবার ব্রায়োনিয়া এবং নাক্স ভমিকা ঔষধ দুটিকে অদল-বদল করে ব্যবহার করে দারুণ ফল পেতেন।

Bryonia alba – যাদের মাসিকের সময়ে মাসিক না হয়ে বরং নাক থেকে রক্তক্ষরণ হয় এবং প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হয়, তাদের বেলায় ব্রায়োনিয়া প্রযোজ্য।

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Aconitum napellus – একোনাইট ন্যাপ

যে-কোন ধরনের কাশি হউক না কেন, যদি প্রথম থেকেই মারাত্মক আকারে দেখা দেয় অথবা কাশি শুরু হওয়ার দু’চার ঘণ্টার মধ্যে সেটি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে, তবে একোনাইট হলো তার এক নাম্বার ঔষধ। একোনাইটের রোগকে তুলনা করা যায় ঝড়-তুফান্তটর্নেডোর সাথে- অতীব প্রচণ্ড কিন্তু ক্ষণস্থায়ী। কাশিও যদি তেমনি হঠাৎ করে মারাত্মক আকারে শুরু হয়, তবে একোনাইট সেবন করুন। কাশির উৎপাত এত বেশী হয় যে তাতে রোগী মৃত্যুর ভয়ে কাতর হয়ে পড়ে।

Aconitum napellus –  হাঁপানীর আক্রমণের যখন সেটি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে, তখন খাওয়াতে পারলে একোনাইট কাজ করবে যাদুর মতো। হাঁপানীর আক্রমণ এত মারাত্মক হয় যে তাতে রোগী মৃত্যুর ভয়ে শংকিত হয়ে পড়ে।

Aconitum napellus –  এংজাইটি বা টেনশান যদি হঠাৎ দেখা দেয় এবং সাথে যদি ‘এখনই মরে যাব’ এমন ভয় হতে থাকে, তবে একোনাইট খেতে হবে।

Aconitum napellus –  ভয় পেয়ে মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে একোনাইট খেতে হবে।

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Natrum muriaticum – নেট্রাম মিউর

চুলের লাইন বরাবর খুসকি বা এই রকম ছাল ওঠা জাতীয় যে-কোন চর্মরোগে নেট্রাম মিউর প্রযোজ্য। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো  মুখ সাদাটে এবং ফোলা ফোলা, বেশী বেশী লবণ বা লবণযুক্ত খাবার খায়, কথা শিখতে বা পড়াশোনা শিখতে দেরী হয়, ঋতুস্রাবে রক্তক্ষরণ হয় খুবই অল্প, পা মোটা কিন্তু ঘাড় চিকন ইত্যাদি।

Natrum muriaticum – পক্ষান্তরে মানসিক আঘাত পাওয়ার পরে অনেক দিন কেটে গেলে তাতে নেট্রাম মিউর ঔষধটি প্রযোজ্য। সাধারণত খুবই সেনসেটিভ, সান্ত্বনা দিলে উল্টো আরো ক্ষেপে যায়, লবণ জাতীয় খাবার বেশী খায় ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে তাতে নেট্রাম মিউর ভালো কাজ করে।

Natrum muriaticum – অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোষ্টকাঠিন্যের একটি মুল কারণ হয়ে থাকে নাড়িভূড়ির দেওয়ালের শুষ্কতা (dryness of the bowel) আর এই কারণে নেট্রাম মিউর ঔষধটি কোষ্টকাঠিন্যের একটি অমুল্য ঔষধ। কেননা খাবার লবণ থেকে তৈরী করা এই ঔষধটি শরীরের সকল স্থানে পানির ভারসাম্য আনতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া যাদের বেশী বেশী লবণ খাওয়ার অভ্যাস আছে এবং যাদের মুখে ব্রণ হয় প্রচুর, তাদের কোষ্টকাঠিন্যসহ যে-কোন রোগে নেট্রাম মিউর যাদুর মতো কাজ করবে। এমনিভাবে Magnesia muriatica এবং Ammonium muriaticum ঔষধ দুইটিও কোষ্টকাঠিন্যের শ্রেষ্ট ঔষধ।

Natrum muriaticum – নাক দিয়ে পানি ঝরাসহ হঠাৎ সর্দির আক্রমণ হলে নেট্রাম মিউর দুয়েক ঘন্টা পরপর খেতে পারেন। এটিও সর্দির একটি ভালো ঔষধ।

Natrum muriaticum –   যারা অল্পতেই মনে আঘাত পায়, যাদের মাথায় অপ্রীতিকর চিন্তা সারাক্ষণ ঘুরপাক খায়, দুঃশ্চিন্তা করলে যাদের মাথা ব্যথা শুরু হয়, যাদের সান্ত্বনা দিলে উল্টো আরো খেপে যায়, তাদের এংজাইটিতে নেট্রাম মিউর ভালো কাজ করে।

Natrum muriaticum –   ক্লার্কের মতে, নেট্রাম মিউর মুখের ঘায়ের একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। এদের জিহ্বা থাকে মানচিত্রের মতো খাঁজ কাটা এবং স্থানে স্থানে লাল দাগ বিশিষ্ট।

Natrum muriaticum – যাদের ঋতুস্রাবে রক্তক্ষরণ হয় খুবই অল্প এবং যাদের পিরিয়ড প্রতিবারই কিছুদিন পিছিয়ে যায়, তাদের মাসিক বন্ধ হলে নেট্রাম মিউর প্রযোজ্য। এদের মুখ হয় সাদাটে এবং ফোলা ফোলা এবং বেশী বেশী লবণ বা লবণযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রতি তীব্র আকর্ষণ থাকে।

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Oleander – ওলিয়েন্ডার

ওলিয়েন্ডার চুলের খুসকির একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো মাথায় ভীষণ চুলকানি, চুলকানির পরে হুল ফোটানোর মতো ব্যথা, স্তন্যদানের পর শরীরে কাঁপুনি, চোখ তেড়া করে তাকালে মাথা ব্যথা ভালো হয়ে যায়, উদাসীনতা ইত্যাদি।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Graphites – গ্র্যাফাইটিস

গ্র্যাফাইটিসের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো অলসতা, দিনদিন কেবল মোটা হওয়া, মাসিকের রক্তক্ষরণ খুবই কম হওয়া, চর্মরোগ বেশী হওয়া এবং তা থেকে মধুর মতো আঠালো তরল পদার্থ বের হওয়া, ঘনঘন মাথাব্যথা হওয়া, নাক থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া, আলো অসহ্য লাগা ইত্যাদি। উপরের লক্ষণগুলোর দু’তিনটিও যদি কোন রোগীর মধ্যে থাকে, তবে গ্র্যাফাইটিস তার খুসকি সারিয়ে দেবে।

Graphites – গ্র্যাফাইটিসের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো অলসতা, দিনদিন কেবল মোটা হওয়া, মাসিকের রক্তক্ষরণ খুবই কম হওয়া, চর্মরোগ বেশী হওয়া এবং তা থেকে মধুর মতো আঠালো তরল পদার্থ বের হওয়া, ঘনঘন মাথাব্যথা হওয়া, নাক থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া, আলো অসহ্য লাগা ইত্যাদি। উপরের লক্ষণগুলোর দু’তিনটিও যদি কোন রোগীর মধ্যে থাকে, তবে গ্র্যাফাইটিস তার কোষ্টকাঠিন্য সারিয়ে দেবে।

Graphites – (মাসিক বন্ধ থাকা, ঋতুস্রাব না হওয়া)  যে-সব মহিলা দিন দিন কেবল মোটা হতে থাকে, যাদের মাসিকের রক্তক্ষরণের পরিমাণ খুবই অল্প, যাদের সারা বছর কোষ্টকাঠিন্য লেগে থাকে, তাদের বেলায় গ্রেফাইটিস প্রযোজ্য।

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Mezereum – মেজেরিয়াম

মেজেরিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো মাথার থেকে মোটা মোটা চামড়ার মতো চলটা উঠতে থাকে, এগুলোর নীচে আবার পূঁজ জমে থাকে, চুল আঠা দিয়ে জট লেগে থাকে, পূঁজ থেকে এক সময় দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে, চুলকানীর জন্য রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায় ইত্যাদি।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Sulphur – সালফার

খুসকির একটি সেরা ঔষধ হলো সালফার যদি তাতে অত্যধিক চুলকানী এবং জ্বালাপোড়া থাকে। এই কারণে রোগীর মধ্যে অন্য কোন ঔষধের লক্ষণ না থাকলে অবশ্যই তার চিকিৎসা প্রথমে সালফার দিয়ে শুরু করা উচিত। সালফারের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো সকাল ১১টার দিকে ভীষণ খিদে পাওয়া, গোসল করা অপছন্দ করে, গরম লাগে বেশী, শরীরে চুলকানী বেশী, হাতের তালু-পায়ের তালু-মাথার তালুতে জ্বালাপোড়া, মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে কোন খেয়াল নাই, রোগ বিছানার গরমে বৃদ্ধি পায়, ছেড়া-নোংরা তেনা দেখেও আনন্দিত হয় ইত্যাদি ইত্যাদি।

Sulphur – কোষ্টকাঠিন্যের সবচেয়ে সেরা ঔষধ হলো সালফার। এই কারণে রোগীর মধ্যে অন্য কোন ঔষধের লক্ষণ না থাকলে অবশ্যই তার চিকিৎসা প্রথমে সালফার দিয়ে শুরু করা উচিত। এটি সাধারণত কবি-সাহিত্যিক-লেখক-বুদ্ধিজীবি-গবেষক-বিজ্ঞানী ইত্যাদি পেশার লোকদের অর্থাৎ সৃজনশীল ব্যক্তিদের বেলায় ভালো কাজ করে। সালফারের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো গোসল করা অপছন্দ করে, গরম লাগে বেশী, শরীরে চুলকানী বেশী, হাতের তালু-পায়ের তালু-মাথার তালুতে জ্বালাপোড়া, মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে কোন খেয়াল নাই, ছেড়া-নোংরা তেনা দেখেও আনন্দিত হয় ইত্যাদি ইত্যাদি।

Sulphur – চুলকানী-চর্মরোগ বেশী হয়, সকাল ১১টার দিকে ভীষণ ক্ষুধা পায়, শরীরের বিভিন্ন স্থানে জ্বালাপোড়া করে, নোংরা স্বভাবের, গোসল করতে চায় না, ভাবুক বা দার্শনিক স্বভাবের, মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা থাকে, একই রোগ বার বার দেখা দেয় ইত্যাদি লক্ষণ যাদের মধ্যে পাওয়া যাবে, তাদের চোখের ছানি সালফার প্রয়োগে সেরে যাবে।

Sulphur – কোন চর্মরোগ (যা থেকে পূঁজ বের হতো) কড়া ঔষধ ব্যবহার করে চাপা দেওয়ার ফলে মৃগী রোগ হলে সালফার প্রযোজ্য। সালফার সেই চর্মরোগ ফেরত আনবে এবং ভেতর থেকে সারিয়ে তুলবে এবং সাথে সাথে মৃগীকেও বিদেয় করবে। কাজেই মৃগী দেখা দেওয়ার পূর্বে যাদের নানা রকম চর্মরোগ হওয়ার ইতিহাস আছে, তাদের প্রথমেই কিছুদিন সালফার খেয়ে নেওয়া উচিত। তাছাড়া সালফারের প্রধান প্রধান লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে সকাল ১১টার দিকে ভীষণ খিদে পাওয়া, শরীর গরম লাগা, রোগ রাতে বৃদ্ধি পাওয়া,রোগ গরমে বৃদ্ধি পাওয়া, মাথা গরম কিন্তুপা ঠান্ডা, মাথার তালু-পায়ের তালুসহ শরীরে জ্বালাপোড়া ইত্যাদি।

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Sepia – সিপিয়া

সিপিয়া খুসকির একটি ভালো ঔষধ বিশেষত যদি মাথার চামড়া ভেজাভেজা এবং ঘিয়ের মতো আঠালো হয়। সিপিয়ার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো তলপেটে বল বা চাকার মতো কিছু একটা আছে মনে হয়, রোগী তলপেটের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পায়খানার রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে যাবে এই ভয়ে দুই পা দিয়ে চেপে ধরে রাখে, সর্বদা শীতে কাঁপতে থাকে, দুধ সহ্য হয় না, ঘনঘন গর্ভপাত হয়, স্বামী-সন্তান-চাকরি-বাকরির প্রতি আকর্ষণ কমে যায়।

Sepia – মাসিক বন্ধের চিকিৎসায় সিপিয়ার লক্ষণ হলো পেটের মধ্যে চাকা বা বলের মতো কিছু একটা আছে বলে অনুভূত হয়। শারীরিক দুর্বলতা থাকে প্রচুর এবং সংসারের প্রতি কোন আকর্ষণ থাকে না।

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Sanicula – স্যানিকিউলা

স্যানিকিউলা ঔষধটি মাথার পাশাপাশি চোখের পাতা এবং দাড়ির খুসকিও দূর করতে পারে। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো অকাল বার্ধক্য, প্রচুর খেয়েও দিন দিন শুকিয়ে যায়, পায়ের তালুতে জ্বালাপোড়া, পা থেকে দুর্গন্ধযুক্ত ঘাম বের হয় ইত্যাদি।

Sanicula –   মুখের ঘায়ে সেনিকিউলা’র লক্ষণ হলো তাতে গরম পানি খেয়ে মুখ পুড়ে যাওয়ার মতো জ্বালা-পোড়া ভাব থাকে এবং গরম কোন খাবার-পানি খেলে খুবই অসুবিধা হয়। যাদের শারীরিক অবস্থা খারাপ এমনকি গ্রীষ্মকালেও যাদের হাত-পা ঠান্ডা থাকে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Kali sulp – ক্যালি সালফ

ক্যালি সালফ খুসকির একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। এমনকি যদি তাতে পূঁজও থাকে। খুসকির মতো মরা চামড়া উঠে এমন যে-কোন চর্মরোগেও এটি প্রয়োগ করতে পারেন।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Thuja occidentalis – থুজা

খুসকির একটি মূল কারণ হলো টিকা (বিসিজি, ডিপিটি, এটিএস, পোলিও, হেপাটাইটিস, এটিএস ইত্যাদি) নেওয়া। টিকা নিলে কেবল খুসকিই হয় না বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে চুল পাতলা হয়ে যায় এবং পাতলা হতে হতে টাক পড়ে যায়। কাজেই কোন টিকা নেওয়ার দুয়েক মাস থেকে দুয়েক বছরের মধ্যে খুসকি দেখা দিলে প্রথমেই থুজা নামক ঔষধটি খেতে হবে। বিশেষ করে খুসকির সাথে যাদের শরীরে আঁচিলও আছে, তাদের প্রথমেই সপ্তাহে একমাত্রা করে কয়েক মাত্রা খুজা খেয়ে নেওয়া উচিত।

Thuja occidentalis – টিকা (vaccines) হলো হাঁপানি হওয়ার একটি সবচেয়ে বড় কারণ। যেমন-বিসিজি, ডিপিটি, হাম, পোলিও, এটিএস, হেপাটাইটিস ইত্যাদি ইত্যাদি। টিকা নেওয়ার কারণে হাঁপানি হলে সেক্ষেত্রে থুজা একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। সুতরাং যে-সব হাঁপানি রোগী অতীতে এসব অথবা অন্য কোন টিকা নিয়েছেন, তাদেরকে অবশ্যই ৫/৬ মাত্রা থুজা খাওয়াতে হবে। যারা শীত সহ্য করতে পারে না এবং উপর থেকে পড়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে, তাদের ক্ষেত্রে থুজা প্রযোজ্য। এটি ২০০ শক্তিতে দশ দিন পরপর খাওয়া উচিত।

Thuja occidentalis – টাকের একটি মূল কারণ হলো টিকা (বিসিজি, ডিপিটি, এটিএস, পোলিও, হেপাটাইটিস, এটিএস ইত্যাদি) নেওয়া। টিকা নিলে কেবল খুসকিই হয় না বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে চুল পাতলা হয়ে যায় এবং পাতলা হতে হতে টাক পড়ে যায়। কাজেই কোন টিকা নেওয়ার দুয়েক মাস থেকে দুয়েক বছরের মধ্যে খুসকি দেখা দিলে প্রথমেই থুজা নামক ঔষধটি খেতে হবে। বিশেষ করে খুসকির সাথে যাদের শরীরে আঁচিলও আছে, তাদের প্রথমেই কয়েক মাত্রা খুজা খেয়ে নেওয়া উচিত।

Thuja occidentalis – থুজা ব্রণের আরেকটি ভালো ঔষধ বিশেষত সেগুলো যদি টিকা নেওয়ার কারণে হয়ে থাকে।

Thuja occidentalis – শিশুদের কান্নাকাটি এবং বদমেজাজের একটি বড় কারণ হলো টিকা (vaccine) নেওয়া। সাধারণত বিসিজি, ডিপিটি, এটিএস, হাম, পোলিও, হেপাটাইটিস ইত্যাদি টীকা নেওয়ার কারণে শিশুদের কান্নাকাটি করার রোগ হয়। তারা দিনে-রাতে, কারণে-অকারণে কাঁদতে থাকে, কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির সবার ঘুম হারাম করে ফেলে। এজন্য Thuja occidentalis নামক ঔষধটি সপ্তায় এক মাত্রা করে ছয় সপ্তাহ খাওয়ান। থুজাতে পুরোপুরি না সারলে বিকল্প হিসেবে Silicea, Vaccininum, Sulphur ইত্যাদি নামক ঔষধগুলোও খাওয়াতে পারেন।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Aurum metallicum – অরাম মেট

অরাম মেট হলো হোমিওপ্যাথিতে বিষন্নতার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। বিশেষত মারাত্মক ধরণের বিষন্নতা যাতে মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার নেশা চেপে যায়, তাতে অরাম মেট ভালো কাজ করে। সে ভাবে সে পৃথিবীতে বসবাসের অনুপযুক্ত এবং আত্মহত্যা করতে আনন্দ পায়। স্বর্ণ থেকে প্রস্তুত করা এই ঔষধটি আত্মহত্যা ঠেকানোর একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। সাধারণত স্বর্ণ মানুষকে আত্মহত্যা করতে উৎসাহিত করে; যেমন মেয়েরা স্বর্ণের অলঙ্কার ব্যবহার করে বেশী আর এই কারণে তারা আত্মহত্যাও করে বেশী। কেননা স্বর্ণ তাদের চামড়া দিয়ে অল্প অল্প করে শরীরে ঢুকে থাকে। পক্ষান্তরে স্বর্ণকে শক্তিকৃত করে তৈরী করা ঔষধ অরাম মেট মানুষের আত্মহত্যা করার ইচ্ছাকে নষ্ট করে দেয়।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Arsenicum album – আর্সেনিক

আর্সেনিকের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো উৎকন্ঠা, অস্থিরতা, জ্বালাপোড়া ভাব, খুঁতখুঁতে স্বভাব, কাজে কর্মে একবারে নিখুঁত (perfectionistic), মৃত্যুকে ভয় পায় আবার আত্মহত্যা করতেও চায়, রাত ১টা থেকে ২টা পযর্ন্ত বিষন্নতা বেড়ে যায়, অজানা অমঙ্গলের ভয়, মনে হয় মানুষ খুন করেছে এমন টেনশান করতে থাকে, মনে হয় এখনই পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করবে ইত্যাদি ইত্যাদি।

Arsenicum album – মাথার চামড়া শুকনা, খস্‌খসে, স্পর্শ করলে ব্যথা লাগে, বেশ গরম, রাতের বেলা ভীষণ চুলকায় ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে আর্সেনিক খেতে হবে।

Arsenicum album – পচাঁ, বাসি কিংবা বিষাক্ত কোন খাবার-পানীয় খাওয়ার কারণে পেটে ব্যথা হলে আর্সেনিক এক নাম্বার ঔষধ। কাচাঁ কোন ফল খেয়ে পেট ব্যথা হলেও আর্সেনিক খেতে হবে। পেটের ভেতরের কোন ক্যান্সারের কারণে পেট ব্যথা হলেও আর্সেনিক খেতে পারেন।

Arsenicum album – শরীরের অনেক গভীর পযর্ন্ত যদি পুড়ে যায়, তবে আর্সেনিক খাওয়াতে হবে। পোড়া জায়গাটি ধীরে ধীরে কালো হয়ে যায়, যাতে গ্যাংগ্রিন হয়ে গেছে বুঝা যায়। আক্রান্ত স্থান ফুলে যায় এবং তাতে ছুড়ি মারার মতো ব্যথা হয়। রোগী ভীষণ অস্থির হয়ে পড়ে, এক পজিশনে বেশীক্ষণ থাকতে পারে না। সে মনে করে ঔষধ খেয়ে কোন লাভ নেই, তার মৃত্যু হবে এখনই।

Arsenicum album – আর্সেনিক উদ্বেগ-উৎকন্ঠার একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ তাদের জন্য যারা কোন কিছু এলোমেলো দেখলে রেগে যান, ছোট-খাটো ব্যাপারেও ভীষণ সিরিয়াস, খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্বভাবের, সবকিছু নিজের কন্ট্রোলে রাখতে বদ্ধপরিকর। এরা দুশ্চিন্তায় খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে কিন্তু তারপরও অস্থিরতার কারণে এক স্থানে বা এক পজিশনে বেশীক্ষণ বসে থাকতে পারে না।

Arsenicum album – মুখের ঘায়ের রঙ যদি নীলচে রঙের হয় এবং তাতে জ্বালা-পোড়া ভাব থাকে, তবে আর্সেনিক তার উপযুক্ত ঔষধ।

Arsenicum album – গ্যাংগ্রিনে সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত ঔষধ হলো আর্সেনিক। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো ছুরি মারার মতো ভয়ঙ্কর ব্যথা, আক্রান্ত স্থান কালচে রঙ ধারণ করে, ভীষণ জ্বালাপোড়া ভাব, অস্থিরতা, ওজন কমে যাওয়া, ভীষণ দুর্বলতা ইত্যাদি। ব্যথা সাধারণত মধ্যরাতে বৃদ্ধি পায় এবং গরম শেক দিলে কমে যায়। রোগী মৃত্যুর ভয়ে কাতর হয়ে পড়ে। সাধারণত উচ্চ শক্তিতে খাওয়া উচিত এবং বিনা প্রয়োজনে ঘনঘন খাওয়া উচিত নয়।

Arsenicum album – অতীব মৃত্যুভয়, আমার রোগ কখনও ভালো হবে না, মৃত্যু নিশ্চিত ইত্যাদি লক্ষণে আর্সেনিক (৩০,২০০) আপনাকে আরোগ্য করবে।

 

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Causticum – কষ্টিকাম

যারা অন্যের দুঃখ-কষ্ট দেখতে সহ্য করতে পারেন না, প্রতিবাদী স্বভাবের, অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে থাকতে পারেন না, ভুলো মন, দরজা লাগানো হয়েছে কিনা কিংবা চুলা নেভানো হয়েছে কিনা বারবার পরীক্ষা করেন, এই ধরনের লোকদের বিষন্নতায় কষ্টিকাম প্রযোজ্য।

Causticum – কষ্টিকামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো কাশি দিলে প্রস্রাব বেরিয়ে যায়, সকাল বেলা গলা ভাঙ্গা, বুকে প্রচুর কফ কিন্তু সেগুলো উঠানো যায় না, যেটুকু কফ উঠে তাও আবার ফেলতে পারে না বরং খেয়ে ফেলে, পেটে বা শরীরের বিভিন্ন স্থানে জ্বালাপোড়া করে, কাশি ঠান্ডা পানি খেলে কমে যায়, কাশি দিলে প্রস্রাব বেরিয়ে যায় ইত্যাদি। ইহার মানসিক লক্ষণ হলো অন্যের দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে পারে না।

Causticum – পোড়ার পরবর্তী যে-কোন জটিলতা নিরাময়ের জন্য কষ্টিকাম ব্যবহার করতে পারেন। অনেকে বলেন যে, “সেই পোড়ার ঘটনার পর থেকেই আমার এই সমস্যাটি দেখা দিয়েছে”- এসব সমস্যার চিকিৎসার ক্ষেত্রে কষ্টিকাম প্রয়োগ করুন।

Causticum – হাঁপানী রোগী একমাত্র দাড়িয়ে থাকলে আরাম পায়, লক্ষণে কষ্টিকাম প্রযোজ্য।

Causticum – মাসিক অনিয়মিত হওয়ার কারণে মৃগী রোগ হলে অথবা মেয়েদের প্রথম মাসিক শুরু হওয়ার বয়সে মৃগী রোগ হলে কষ্টিকাম প্রযোজ্য। তাছাড়া খোলা বাতাসে হাটার সময় পড়ে যায় আবার সাথে সাথেই ঠিক হয়ে যায়। অমাবশ্যার সময় যদি মৃগীর আক্রমণ হয় তবে কষ্টিকাম উপকারী। ঘুমের ভেতরে মৃগীর আক্রমণ হয় এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রস্রাব বেরিয়ে যায়।ইহার মানসিক লক্ষণ হলো অন্যের দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে পারে না।

Causticum – যারা নিজের চাইতে অন্যের দুঃখ-কষ্টে বেশী কাতর হয়ে পড়েন, তাদের জন্য কষ্টিকাম ( ৩০,২০০) ।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Cimicifuga – সিমিসিফিউগার

সিমিসিফিউগার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো গোমড়ামুখ, দুঃখবোধ, নিদ্রাহীনতা, ভয় পায় সে মনে হয় পাগল হয়ে যাবে, কেউ আঘাত করবে অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ভয় করে, মনে হয় সবকিছুকে একটি কালো পর্দা ঢেকে দিয়েছে ইত্যাদি।

Cimicifuga – সিমিসিফিউগার সতর্কীকরণ লক্ষণ (aura) হলো মাথার ভেতরে ঢেউ খেলানোর অনুভুতি হওয়া।অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে আছে বিষন্নতা বা মনমরা ভাব, ঘাড়ের পেছনে ব্যথা, বিভিন্ন জয়েন্টে বাতের সমস্যা বেশী হওয়া ইত্যাদি।

Cimicifuga – (মাসিক বন্ধ থাকা, ঋতুস্রাব না হওয়া) এটি নার্ভাস ধরণের মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিশেষত যারা ঘন ঘন বাতের ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন। মনে আনন্দ নাই এবং সবকিছুরই খারাপ দিকটা আগে চিন্তা করেন।

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Ignatia amara – ইগ্নেশিয়া

অল্প সময় বা অল্প কয়েকদিন পূর্বে বড় ধরণের মানসিক আঘাত পাওয়ার কারণে বিষন্নতার সৃষ্টি হলে তাতে ইগ্নেশিয়া প্রয়োগ করতে হবে। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো কোন কারণ ছাড়াই হাসে-কাদে, কিছুক্ষণ পরপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে, হাই তোলে, গলার মধ্যে একটা চাকার মতো কিছু আটকে আছে মনে হওয়া, নিদ্রাহীনতা, মাথাব্যথা, পেটের মধ্যে খামচে ধরা ব্যথা ইত্যাদি।

Ignatia – ইগ্নেশিয়া হলো অদ্ভূত সব লক্ষণের ঔষধ। যেমন কানের শো শো শব্দ গান শুনলে কমে যায়, পাইলসের ব্যথা হাটলে কমে যায়, গলা ব্যথা ঢোক গেলার সময় কমে যায়, মাথা ব্যথা মাথা নীচু করলে কমে যায় ইত্যাদি। যত কাশে তত কাশি বেড়ে যায়- এই লক্ষণ থাকলে তাতে ইগ্নেশিয়া প্রয়োগ করতে হবে। সাধারণত শোক, দুঃখ, বিরহ, বিচ্ছেদ, প্রেমে ব্যর্থতা, আপনজনের মৃত্যু ইত্যাদি কারণে যে-কোন রোগ হলে তাতে ইগ্নেশিয়া প্রযোজ্য।

Ignatia – দুঃসংবাদ শুনে অজ্ঞান হলে ইগ্নেশিয়া ঔষধটি পাঁচ/দশ মিনিট পরপর খাওয়ান।

Ignatia – দুঃসংবাদ শোনার পরে অথবা বিরহ-বিচ্ছেদ-ছ্যাকা খাওয়ার কারণে, মনে কষ্ট পাওয়ার কারণে পেটে ব্যথা হলে ইগ্নেশিয়া খেতে হবে।

Ignatia – সাধারণত শোক, দুঃখ, বিরহ, বিচ্ছেদ, হতাশা, সমালোচনা, একাকিত্ব ইত্যাদি আবেগজনিত কারণে এংজাইটি হলে ইগ্নেশিয়া ঔষধটি দারুণ কাজে দিবে। উপরোক্ত আবেগজনিত কারণে অনিদ্রা, পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা, ডায়েরিয়া, মাথা ঘুরানি, কান্নাকাটি ইত্যাদি যে-কোন সমস্যা দেখা দিলে ইগ্নেশিয়া আপনাকে তা থেকে সহজেই মুক্তি দিবে।

Ignatia – প্রেমে ব্যর্থতা, বিষণ্নতা, আপনজনের মৃত্যু, বিরহ, ভীষণ মানসিক কষ্ট ইত্যাদির পরে প্রথমে ইগ্নেশিয়া(৩,৬) এবং পরে নেট্রাম মিউর (২০০, ১০০০) খাওয়া জরুরি।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Natrum carbonicum

সাধারণত নম্র-ভদ্র-শান্তিপ্রিয়-পরোপকারী স্বভাবের লোকদের ক্ষেত্রে এই ঔষধটি প্রযোজ্য, যারা ঝগড়া-ঝাটিকে ভয় পায়। কোন কারণে এরা কষ্ট পেলে সেটি মনের মধ্যে চেপে রাখে এবং বিষন্নতায় ভোগতে থাকে। এরা বিষন্নতায় আক্রান্ত হলে বসে বসে বিরহের গান শুনতে থাকে। এই ধরণের লোকদের ক্ষেত্রে নেট্রাম কার্ব হলো বিষন্নতার শ্রেষ্ট ঔষধ।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Kali phosphoricum – ক্যালি ফস

সাধারণত কঠোর পরিশ্রমের কারণে, অতিরিক্ত মানসিক পরিশ্রমের ফলে, দীর্ঘদিন শোক-দুঃখ-আবেগ-উত্তেজনায় ভোগার কারণে বিষন্নতার সৃষ্টি হলে তাতে ক্যালি ফস ঔষধটি সুফল দিবে। কোন কাজে মনোযোগ দিতে না পারা, মানসিক পরিশ্রমে মাথাব্যথা, প্রচুর ঘামানো, সহজে সর্দি লাগা, রক্তশূণ্যতা, নিদ্রাহীনতা, বদহজম প্রভৃতি সমস্যা একসাথে দেখা দিলে তাতে ক্যালি ফস প্রযোজ্য।

Kali phosphoricum –  যারা দীর্ঘদিন যাবত এংজাইটিতে ভোগছেন এবং ইহার ফলে তাদের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছে আর মন্তমেজাজও খিটখিটে হয়ে গেছে, তাদের জন্য ক্যালি ফস ঔষধটি আল্লাহ্‌র একটি রহমত স্বরূপ।

Kali phosphoricum – একেবারে নার্ভাস ধরণের মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যাদের শরীরের অবস্থা বেশ খারাপ, ভীষণ বদমেজাজী, অতিরিক্ত শারীরিক-মানসিক পরিশ্রমে যাদের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছে।

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah

I Love You Allah