ওরাল সেক্স বা মুখমেহন সম্পকে ইসলাম এবং চিকৎসা বিজ্ঞান কি বলে ?
ওরাল সেক্স বা মুখমেহন (blow job) : মুখ দ্বারা বিপরীত লিঙ্গ বা সমলিঙ্গের যৌনাঙ্গ চোষন বা লেহন করে যে যৌন ক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় তাকে ওরাল সেক্স বা মুখমেহন বলা হয়। এটা দু ধরনের, যখন পুরুষ সঙ্গীটি স্ত্রী সঙ্গীর যৌনাঙ্গ চোষন করে পুর্ন যৌন পরিতৃপ্তি গ্রহন করে তাকে কনিলিঙ্গাস বলা হয়। আবার স্ত্রী সঙ্গীটি পুরুষ সঙ্গীর যৌনাঙ্গ চোষন করে পুর্ন যৌন পরিতৃপ্তি গ্রহন করলে তাকে ফেলাসিও বলা হয়।
ওরাল সেক্স বা মুখমেহন অস্বাভাবিক যৌন বিকৃতি হিসেবে গন্য করা হয়। ওরাল সেক্স মুসলিমদের জন্য হারাম ! ইসলাম ও চিকৎসা বিজ্ঞান বলে এর দ্বারা যৌন রোগ হয়।
তবে ওরাল সেক্স করার ফলে কয়েকটি এসটিআই-এ (যৌনবাহিত সংক্রমন) আক্রান্ত হওয়া বা ঐসব রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। ওরাল সেক্স-এর কারণে যেসব এসটিআই ছড়িয়ে পড়তে পারে সেগুলো হলোঃ
- ক্লামিডিয়া
- যৌনাঙ্গে ওয়ার্ট বা আঁচিল হওয়া
- হেপাটাইটিস বি
- হেপাটাইটিস এ
- হেপাটাইটিস সি
- হার্পিস
- সিফিলিস
- শ্রোণীচক্রে উকুন (ক্র্যাব)
- হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস
- গনোরিয়া
- জন্ডিস
- ওরাল ক্যান্সার
- এইচআইভি
ওরাল সেক্সের মাধ্যমে এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়া সম্ভব, যদিও অরক্ষিত যোনিপথ ও অ্যানাল সেক্সের চাইতে ওরাল সেক্সে এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। এতে ঝুঁকি কম থাকে তবে বিশেষ করে যদি মুখে কোনো ক্ষত থেকে থাকে এবং সঙ্গী যদি মুখে যৌনাঙ্গের তরল অবমুক্ত করেন তাহলে ঝুঁকির হার বৃদ্ধি পেতে পারে।
কাম রস হচ্ছে প্রাক-চরমানন্দ-তরল। এটি স্বচ্ছ পানির রঙের আঠালো তরল, যা যৌন চিন্তা/লিঙ্গত্থানের পর পুরুষাঙ্গ থেকে নিঃস্বরিত হয়। কাম রসকে ইংরেজীতে প্রি-কাম বলা হয়। কাম রস এবং বীর্য প্রায় একই প্রকার তরল। অনেক পুরুষের এটি ৫ মিঃলিঃ পর্যন্ত বের হতে পারে।
স্ত্রী তার স্বামীর যৌনাঙ্গ চোষন করে যৌন তৃপ্তি দেয় তখন তার মুখে পুরুষের কাম রস, বীর্য অবমুক্ত হয় । বীর্য ,কাম রস নাপাক । নাপাক জিনিষ খাওয়া হারাম । কিছু কিছু বিকৃত ইসলামি চিন্তাবিদের মতে বীর্য ,কাম রস মাকরূহ । তাদেরকে বলতে চাই আপনারা স্ত্রীর সাথে সেক্স করার পর ফরজ গোসল মনে হয় দেন না ! কারন আপনাদের মতে বীর্য , কাম রস মাকরূহ । মাকরূহ অবমুক্ত হলে দোষেরতো কিছু নাই ! তা হলে ফরজ গোসল দিয়ে কি লাভ ? SO SAD
বীর্য নিঃস্বরিত হলে পবিত্রতার জন্য যেমন পুর্ন গোসল করতে হয়, কিন্তু কাম রস নির্গত হলে গোসল করতে হয়না। শুধু যে অঞ্চলে কাম রস লেগেছে সে অঞ্চল ধুয়ে নিলেই পবিত্র হয়ে যাবে। অবশ্যই কাম রস ধুয়ে ফেলতে হবে ।
বীর্য নিঃস্বরিত হলে পবিত্রতার জন্য পুর্ন গোসল এবং কাম রস নিঃস্বরিত হলে শুধু যে অঞ্চলে কাম রস লেগেছে সে অঞ্চল ধুয়ে নিলেই পবিত্র হয়ে যাবে। তবে পুর্ন গোসল দেওয়াটা উওম ।
এক ভাই লিখেছেন …. মুখমেহন বা ওরাল সেক্স ইসলাম ধর্মে একটা বিতর্কিত বিষয়, কোন কোন বিদ্ব্যান এটাকে সমর্থন করেছেন আবার কেউ করেন নি, মোটামুটি ভাবে বলা যায় যে বিষয়কে কোরানে ‘হারাম’ অথবা হাদিসে নিষিদ্ধ বলে চিহ্নিত করে হয়নি তা বৈধ।
আমি এই ভাই কে বলতে চাই … অনেক তথ্য চাপা পরে থাকতে পারে বা সঠিক তথ্য কম মানুষেরই জানা থাকতে পারে । মহানবী(সা৪) সময় কালে ফোন ছিলো না তাই ফোন সেক্স বিষয়ে কোন হাদীস নেই । তবে পরকীয়া অবৈধ এবং পাপ কাজ !
মহানবী(সা৪) সময় কালে ইয়াবা , হেরইন , কোকেন ছিলো না তাই ইয়াবা , হেরইন , কোকেন বিষয়ে কোন হাদীস নেই । তবুও কিন্তু ইয়াবা , হেরইন , কোকেন গ্রহন করা অবৈধ ক্ষতিকর এবং পাপ কাজ !
এইরকম তথ্য অনেক আছে সময়ের অভাবে দিলাম না । হাতে সময় হলে দিতে পারি ।
এক সূত্র থেকে জানা যায় সাদা স্রাব বা লিউকোরিয়া আক্রান্ত মেয়ের সংখ্যা ৭৬ শতাংশ । স্ত্রী যোনিতে এক ধরনের জীবাণু থাকে, যা শুধু যোনির জন্য স্বাভাবিক। সেটি যোনি থেকে নিয়মিত খসে পড়া কোষের গ্লাইকোজেন কে ল্যাকটিক এসিডে পরিণত করে। এটি যোনিতে পিচ্ছিল ভাব আনে। পাশাপাশি এর অম্লতাও ঠিক রাখে। কিন্তু পুরুষ সঙ্গীটি স্ত্রী সঙ্গীর যৌনাঙ্গ চোষন করলে পুরুষ সঙ্গীটি মুখে স্ত্রী যোনিতে থাকা জীবাণু গুলো প্রবেশ করে ।
মুখ বা গলার ক্যান্সারের কারণ লুকিয়ে রয়েছে ওরাল সেক্সের অভ্যাসে। ধূমপানকে পিছনে ফেলে কর্কটরোগের অন্যতম কারণ হিসাবে উঠে আসছে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস, সংক্ষেপে এইচপিভি।
‘মদ-সিগারেটের নেশা নয়, গলার ক্যান্সারের জন্য দায়ী ওরাল সেক্সের প্রতি আমার অতিরিক্ত আসক্তি।’ কর্কটরোগ ধরা পড়ার পর এক সাক্ষাত্কারে অকপট হয়েছিলেন হলিউড অভিনেতা মাইকেল ডগলাস। ‘বেসিক ইনস্টিংক্ট’ ও ‘ফেটাল অ্যাট্রাকশন’-এর মতো সুপারহিট ছবির নায়ক জানিয়েছিলেন, ২০১০ সালে তাঁর জিভের নীচে আখরোট আকৃতির টিউমার বায়োপসি করার পর স্টেজ ফোর ক্যান্সার ধরা পড়ে। ডগলাস স্বীকার করেছেন, যোনিলেহনের মাধ্যমে যৌন রোগের হাত ধরে তাঁর মুখগহ্বরে বাসা বাঁধে মারাত্মক এইচপিভি, যা যোনির, মুখের ও গলার ক্যান্সারের অন্যতম কারণ।
যৌনাঙ্গতে মুখ লাগানো এটি একটি পুশুভিক্তিক আচরণ। যৌনাঙ্গতে মুখ লাগানো এটা সভ্য মানুষের আচরণ হতে পারে না। পুশুদের হাত নেই বলেই তার সঙ্গীনিকে মুখ দ্বারা উত্তেজিত করে। কিন্তু আপনার তো হাত আছে। আপনার হাত থাকতে কেনো আপনি (পুরুষ ও নারী) কেনো যৌনাঙ্গতে মুখ লাগিয়ে আপনার সঙ্গীনিকে উত্তেজিত করবেন?? আমার জানা মতে কিছু সংক্ষক পুশু যৌনাঙ্গতে মুখ লাগায় । তবে আপনি কেনো সৃষ্টির সেরা হয়ে যৌনাঙ্গতে মুখ লাগাবেন ?
এক সূত্র থেকে জানা যায় “খুব কম মহিলাই বীর্যের প্রশংসা করেছেন”। তবে বুকের দুধের মত খাদ্দাভ্যাসের উপর বীর্যের স্বাদ নির্ভর করে। মাংস জাতীয় খাবার বেশী খেলে বীর্যের স্বাদ নোনতা হয়ে যায় এবং যারা ধুমপান অথবা মদ্যপান করে তাদের বীর্যের স্বাদ খুব বাজে হয় । এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এক বছরে কিশোর ও তরুণ ধূমপায়ীর হার ১২ শতাংশ বেড়ে ৬৯ শতাংশ হয়েছে । ওরাল সেক্স তাহলে আপনার সঙ্গীনির জন্য কি ভাবে মজার ? সব চেয়ে ভালো হয় বিকৃত যৌনচার পরিহার করে স্বাভাবিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত হওয়া।
ওরো অ্যানাল সেক্স অর্থাৎ মুখ ও পায়ু পথের যৌনতায় সালমোনিলা, শিগেলা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হতে পারে। এর মাধ্যমে মুখে আলসার ছাড়া পেটে ব্যথা এবং ডায়রিয়া হতে পারে। হেপাটাইটিস ‘এ’ ভাইরাস সংক্রমণের মাধ্যমে জন্ডিস ও পেটে ব্যথা হতে পারে। ভাগ্য খারাপ হলে ওরো অন্যাল সেক্সের মাধ্যমে হেপাটাইটিস ‘এ’ ভাইরাস বিস্তার লাভ করে। ওরাল সেক্স করার সময় যদি রক্ত বের হয় আর সঙ্গীর যদি হেপাটাইটিস ‘সি’ ভাইরাস থাকে তা হলে তা সংক্রমিত হতে পারে।
ইন্ডিয়ার কিছু চটি সাইট আছে ওগুলোর মূল ভিজিটর বাংলাদেশি। আর ইন্ডিয়ান ভিজিটর বাংলাদেশের ভিজিটরের অর্ধেকের ও কম। আর অনলাইন সংবাদ মাধ্যম গুলোর মূল ভিজিটর আসে অশালীন রগরগে সংবাদগুলো থেকে। তারা দেশে এরকম সংবাদ না পেলে বিদেশ থেকে সংবাদ আমদানি করে।
লক্ষ্য করে থাকবেন এই রোজার মাসেও ভিজিটরের লোভে সানি লিওনের সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত হয়নি। মোবাইলে মোবাইলে অশালীন ভিডিও সহজে কিনতেও পাওয়া যায় যারা নেট ইউজ করেনা তাদের সুবিধার জন্য। আর যারা নেট ইউজ করেন তাদের তো কথাই নাই সব পর্ণো যেনো তার হাতের মুঠোয় ।
আল্লাহ তুমি আমাদের রক্ষা করো এবং হেদায়ত দাও ।
তাহলে বুঝাই যায় মুসলিম প্রধান দেশ হওয়া শর্তেও পর্ণোগ্রাফী বাংলাদেশে দারুণ জনপ্রিয়। আর পর্ণো পড়ার সময় বা দেখার সময় আমাদের কয়জনের মনে থাকে, এগুলি কিন্তু গুনাহ। চোখের ব্যভিচার। পর্ণোগ্রাফী দেখে মানুষ মুখমেহন বা ওরাল সেক্স ,ওরো অ্যানাল সেক্স করতে চেষ্টা করে ।
পোষ্টটি লেখা লেখি অবস্থায় আছে ।……………………………………..
[ ভাল লাগলে পোস্ট টি অবশ্যই কমেন্ট বা শেয়ার করুন , শেয়ার বা কমেন্ট দিলে আমাদের কোনো লাভ অথবা আমরা কোনো টাকা পয়সা পাই না, কিন্তু উৎসাহ পাই, তাই অবশ্যই শেয়ার করুন । ]
একটি সাহসী লিখা। এ সময় মধ্যবয়সী বাবা মা, যারা ইন্টারনেট ব্যাবহারে অভিজ্ঞ নন, অথচ সন্তানের শিক্ষার জন্য তাদেরকে নেট কানেকশন দিতে হচ্ছে তারা বুঝতেই পারছেন না তাদের সন্তানদের কিভাবে পর্ণ ছবি দেখা থেকে রক্ষা করবেন, ব্যাভিচার থেকে রক্ষা করবেন? তাদের বিশাল অংশের এত যোগ্যতা নেই যে রেফারেন্স দিয়ে দিয়ে সন্তানদের সাবধান করেন যে নারীপুরুষের(স্বামীস্ত্রী) মাঝে কিভাবে সুস্থ্য যৌন সম্পর্ক থাকা উচিৎ। ওরাল ক্যান্সারের মূলে যে ওরাল সেক্স দায়ী এটাই বেশীর ভাগ মানুষ জানেন না। সবাইকে সচেতন করে থাকুন। ধন্যবাদ
Welcome
ধন্যবাদ
আমি এই পোস্টটি পড়ে হোমিও চিকিৎসা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। অনেক ধন্যবাদ।
Thanks.
আলহামদুলিল্লাহ, অনেক কিছু শিখলাম। আমি বিবাহিত, বিবাহিত জীবনে স্বাভাবিক যৌন মিলনের মাধ্যমেই সুখী দাম্পত্য জীবন গড়া সম্ভব। আমি স্বাভাবিক ভাবেই আমার স্ত্রীকে সেক্স এ আগ্রহী করে, সেক্স করে পূর্ণ তৃপ্তি পায়। r আমার স্ত্রী ও তা খুব উপভোগ করে। আমাদের নতুন প্রজন্মকে এই বিষয় গুলো সুন্দর করে বোঝাতে পারলে খুবই ভালো হয়। তাতে নিকট আত্মীয় স্বজনদের সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে।
আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন। আমিন।
অসাধারণ। এই প্রথম এরকম একটি বিষয়ের সন্ধান পেলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Thanks