1. সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। যখন কেউ হাঁচি বা কাশি দেয় তাদের ফুসফুস এবং নাক থেকে ক্ষুদ্রাকৃতির ড্রপলেট নিঃসৃত হয়, কাছাকাছি অবস্থান করা কেউ নিঃশ্বাস নিলে এই ড্রপলেট তার ভিতরে প্রবেশ করে, যা কিনা রোগের সংক্রমন ঘটাতে পারে। কোনো কারনে বের হতে হলে অন্যদের থেকে অন্তত ৩ ফুট দুরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, করোনাভাইরাস থেকে সুস্থতা লাভ করা সম্ভব, কিন্তু ভাইরাস দ্রুত ছড়ানোর ফলে সবাই একইসাথে অসুস্থ হয়ে হাসপাতাল পূর্ণ করে রাখলে নিরাময়ের যোগ্য ব্যাক্তিরাও ঝুকিপূর্ণ পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন। বাসায় থাকুন, একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বের হবেননা।
2. ঘন ঘন সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধৌত করুন। ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধৌত করলে COVID-19 সহ বিভিন্ন ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার আউটার লেয়ার বিচ্ছিন্ন হয়ে এদের দেহ চূর্ণ-বিচূর্ন হয়ে যায়,অর্থাৎ এগুলো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়, ফলে সংক্রমনের সম্ভাবনাও আর থাকেনা। সাবান কাছে না থাকলে >৬০% অ্যালকোহল যুক্ত স্যানিটাইজার ব্যাবহার করতে পারেন।Minimize
চোখ, নাক বা মুখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকুন। ভাইরাসটি দীর্ঘসময় পর্যন্ত বিভিন্ন বস্তুতে বেচে থাকতে পারে, ঐ সময় কেউ ঐসকল বস্তু স্পর্শ করলে তার হাতে এই ভাইরাস লেগে থাকতে পারে। এমন অবস্থায় চোখ, নাক বা মুখে হাত দিলে ভাইরাস সহজেই দেহে প্রবেশ করতে পারে। একই কারনে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে খুব সাবধানে চলাফেরা করতে হবে।
3. নিজের মধ্যে কোনো লক্ষণ প্রকাশ পেলে সাথে সাথেই হাসপাতালে যাবেননা, আগে ডাক্তারকে কল করুন। করোনাভাইরাসের লক্ষনগুলো সাধারন ঠান্ডাজনিত রোগের সাথে মিল থাকায় অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, কিন্তু এসময় করনীয় হলো ঠান্ডামাথায় ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে তার পরামর্শ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া। যোগাযোগ ছাড়া সরাসরি হাসপাতালে গেলে সেখানে থাকা অন্যান্য রোগী বা তাদের আত্মীয় স্বজনদেরও আপনি ঝুকিতে ফেলবেন, আগে জানিয়ে রাখলে ডাক্তার বাকিদের নিরাপদ দুরত্বে রেখে আপনাকে স্পেশালভাবে আসতে বলবেন।
- হটলাইন
- ৩৩৩ন্যাশনাল কল সেন্টার
- ১৬২৬৩স্বাস্থ্য বাতায়ন
- ১০৬৫৫আইইডিসিআর
- ০৯৬১১৬ ৭৭৭৭৭বিশেষজ্ঞ হেলথ লাইন
- ১০৯ন্যাশনাল হেল্পলাইন