ওজন কমাতে যত অঘটন
কারও ওজন বেশি হলেই তার আশপাশের মানুষগুলো বলতে শুরু করে, কিরে এত মোটা হয়ে যাচ্ছিস কেন? কেউ আবার নিজে থেকেই শুরু করে দেয় অতিরিক্ত ওজন কমানোর প্রক্রিয়া।
কেউ যখন অসুস্থ হয়ে ডাক্তারের কাছে যায় আর ডাক্তার যখন বলে আপনার ওজন কমাতে হবে তখন তাদের মধ্যে ওজন কমানোর জন্য সচেতনতা তৈরি হয়। যে কারণেই মানুষ ওজন কমাতে চান না কেন সেই ওজনটা কমাতে হবে সঠিক উপায়ে।
কেউ অনলাইন থেকে ডায়েট নিয়ে ওজন কমানোর প্রতিযোগিতায় নেমে যায়। অনেকে আবার নিজে নিজে ডায়েট করতে গিয়ে খাবার-দাবার এমন কমিয়ে ফেলে যে তার শরীরে বিভিন্ন পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। ফলে দেখা যায়- দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, খাবারে অনীহা, রক্ত কমে যাওয়া ইত্যাদি।
ডায়েট করতে গেলে একজন মানুষকে তার শারীরিক অবস্থা, সে কী ধরনের কাজ করে, তার ওজন কতটা বেশি, তার খাদ্যাভ্যাস, মহিলা না পুরুষ, তার ওজন কত, উচ্চতা কতখানি ইত্যাদি বিবেচনা করে ওজন কমানোর ডায়েট তৈরি করতে হয়।
সবার ডায়েট একরকম হবে না। প্রত্যেক মানুষ যেমন আলাদা তেমনি তাদের ডায়েটও হবে আলাদা। এমনকি কারও যখন ডায়েট তৈরি করতে হয় তখন ওই ব্যক্তির আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে ডায়েট তৈরি করা হয়। এমনকি তার রুচি, খাদ্যাভ্যাস, কোনো খাবারে অ্যালার্জি আছে কিনা তাও বিবেচনা করতে হয়।
তাই ডায়েট করা প্রয়োজন হলে নিজে নিজে ডায়েট করবেন না। না বুঝে ডায়েটে ওজন হয়তো কারও কারও ক্ষেত্রে কিছু কমবে কিন্তু অন্যদিক দিয়ে হয়তো শরীরের বারোটা বেজে যাবে।
স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা নিজে থেকে ওজন কমাতে গিয়ে কারও কথা না শুনে নিজে নিজে ডায়েট শুরু করে দেয় যা কিনা তার স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। না বুঝে নিজের পছন্দ মতো ডায়েট করার কারণে বাড়ন্ত শরীরে যে পুষ্টির দরকার তার অভাবে শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, পড়াশোনায় অনীহা দেখা দেয়, রেজাল্ট খারাপ করে। এ
কজন পুষ্টি বিশেষজ্ঞকে দেখালে তিনি আপনার সবকিছু বিবেচনা করে ওজন কমানের ডায়েট চার্ট তৈরি করে দেবেন যা আপনার শরীরের কোনোরকম ক্ষতি না করে সুন্দরভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন