অশোক
অশোক বৈজ্ঞানিক নাম: Saraca indica), (ইংরেজি: Yellow Ashok, Yellow Saraca) হচ্ছে Fabaceae পরিবারের এক প্রজাতির বৃক্ষ।অশোক – Saraca asoca (Roxb.) de Wilde
ব্যবহার্য অংশ – ছাল, বীজ, পাতা
কার্যকারিতা : আমাশয়, পাইলস, সিফিলিস, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ঋতুস্রাব ও শ্বেত প্রদরে কার্যকরী।
অশোক মাঝারি আকৃতির ছায়াদানকারী চিরসবুজ বৃক্ষ। এদের পাতার রঙ গাঢ়-সবুজ। পাতাগুলো দীর্ঘ, চওড়া ও বর্শাফলাকৃতির। কচিপাতা কোমল, নমনীয়, ঝুলন্ত ও তামাটে। ফুল ফোটার প্রধান মৌসুম বসন্তকাল। তবে হেমন্ত অবধি এ গাছে ফুল ফোটতে দেখা যায়। তবে শীতকালেও এরা অল্প সংখ্যায় ফোটে থাকে। অশোক ফুল গাছের কান্ড থেকে ফোটে। ফুল আকারে ছোট, কিন্তু বহুপৌষ্পিক, ছত্রাকৃতি মঞ্জরি আকারে বড়। অজস্র ফুলের সমষ্টি অশোকমঞ্জরি মৃদু গন্ধযুক্ত এবং বর্ণ ও গড়নে আকর্ষণীয়। তাজা ফুলের রং কমলা, কিন্তু বাসি ফুল লাল রঙ ধারণ করে। পরাগকেশর দীর্ঘ। ফল বড়সড় শিমের মতো চ্যাপ্টা, পুরু এবং ঈষৎ বেগুনি রঙের।
রবীন্দ্রনাথ কবিতায় লিখেছিলেন, পুরাকালে নাকি অশোকবৃক্ষে নারীর চরণস্পর্শে ফুল জেগে উঠতো। সিদ্ধার্থ লুম্বিনীর এক অশোকতরুর নিচে জন্মেছিলেন। অশোক গাছ হিমালয়ের পাদদেশবর্তী অঞ্চলে লভ্য। বলধা গার্ডেনের সংরক্ষিত অংশটিতে (সাইকি) একটি অশোক গাছ আছে।
প্রজাতি
আলোচ্য অশোক ছাড়াও বাংলাদেশে রাজ অশোক এবং স্বর্ণ অশোক নামে আরও দুই রকমের অশোক গাছ দেখা যায়। অশোকের একটি প্রজাতি রয়েছে যাদের ফলের রঙ হলুদ। এর বৈজ্ঞানিক নামঃ Saraca thaipingensis.
বংশবিস্তার
অশোক ফলের বীজ থেকে সহজেই চারা জন্মায়। তবে চারার বৃদ্ধি মন্থর।
Leave a comment
You must be logged in to post a comment.