পাথরকুচি
পাথরকুচি বীরুৎজাতীয় একটি ঔষধি উদ্ভিদ। দেড় থেকে দুই ফুট উঁচু হয়। পাতা মাংসল ও মসৃণ, আকৃতি অনেকটা ডিমের মতো। পাতার চারপাশে আছে ছোট ছোট গোল খাঁজ। এই খাঁজ থেকে নতুন চারার জন্ম হয়। কখনো কখনো- বিশেষ করে গাছ বুড়ো হয়ে গেলে- গাছেই ওই খাঁজ থেকে চারা গজায়। গাছ থেকে খাঁজকাটা একটি পাতা মাটিতে ফেলে রাখলেই অনায়াসে চারা পাওয়া যায়। বাংলাদেশ ও ভারতে এই গণের কয়েকটি প্রজাতি পাওয়া যায়। কাঁকরমাটিতে সহজেই জন্মে, তবে ভেজা, স্যাঁতসেঁতে জায়গায় দ্রুত বাড়ে এবং মানুষের সমান উঁচু হয়ে যায়। কোথাও কোথাও কফপাতা নামে পরিচিত। আরেকটি নাম পাটিয়াপুরি। হিন্দিতে জখমী হায়াৎ ও সংস্কৃতে পাষাণভেদ বলে।
পাথরকুচির বোটানিক্যাল নাম Kalanchoe pinnata (Lamk.) Pers. ফ্যামিলি Crassulaceae ।
অন্য একটি পাথরকুচির পাতা অনেকটা গোল, তার বোটানিক্যাল নাম Berginia ligulata Wall ফ্যামিলি Saxifragaceae । ইউনানি সম্প্রদায় এটিকে বলে আসল পাথরকুচি, আর কবিরাজরা পূর্বেরটিকে বলে আসল।
রোগ প্রতিরোধে পাথরকুচি অতুলনীয়। পুরনো সর্দিতে পাতার রস গরম করে খেলে উপকার হয়। ছোট বড় সবার মূত্র রোধে পাতার রস খাওয়ানো হয়। খাওয়ার মাত্রা বড়দের বেশি। মূত্রনালির যে কোন সংক্রমণে, রক্তপিত্তে, পেট ফাঁপায়, শিশুদের পেট ব্যথায়, মৃগী রোগীদের পাথরকুচির রস খাওয়ানো হয়। মূত্র পাথর সারিয়ে দিতে সক্ষম পাথরকুচি। এ ছাড়া ব্রণ, ক্ষত ও মাংসপেশী থেঁতলে গেলে, বিষাক্ত পোকায় কামড়ালে এই পাতার রস আগুনে সেঁকে লাগালে উপকার পাওয়া যায়। [১]উইকিপিডিয়া তথ্যসূত্র
পাথরকুচি পাতা থেকে তৈরি দ্রবণই বিদ্যুত্ তৈরির মূল উপাদান। বিদ্যুৎ … এক ছাত্রকে দিয়ে মুন্সিগঞ্জ থেকে এক কেজি পাথরকুচি পাতা নিয়ে আসেন তিনি। … গবেষণার টেবিলে পাথরকুচি: বাংলাদেশে পাথরকুচি পাতা নামে পরিচিত হলেও (বৈজ্ঞানিক নাম Bryophillum বা ব্রায়োফাইলাম) বিভিন্ন দেশে এটি ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত।
Leave a comment
You must be logged in to post a comment.