পেঁয়াজ কেন খাবেন!!
পেঁয়াজ আপনার চোখ দিয়ে পানি ঝরালেও, পেঁয়াজকে নিয়ে হাস্যরসাত্মক নানা গল্প চালো থাকলেও, এর ওপর চোখ বন্ধ করেই ভরসা করতে পারেন। দুঃসময়ে যে সঙ্গীকে আপনি পাশে পাবেন, তার মধ্যে একটি কিন্তু এই পেঁয়াজই। পেঁয়াজে রয়েছে : ৮৬.৮% পানি, ১.২% প্রোটিন, ১১.৬% শর্করা, ০.১৮% ক্যালসিয়াম, ০.০৪% ফসফরাস। এছাড়াও পেঁয়াজে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ও সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আসুন, জেনে নেয়া যাক পেঁয়াজের কিছু অসাধারণ গুণাগুণ:
১) পেঁয়াজে রয়েছে ফাইটোকেমিক্যালস, যা শরীরে ভিটামিন ‘সি’ এর কার্যকারিতাকে বাড়ায়। এর ফলে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
২) পেঁয়াজে ক্রোমিয়ামের উপস্থিতি রয়েছে। এটা রক্তে সুগারের পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
৩) শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পেঁয়াজ নানা ধরনের প্রদাহ কমাতে ও সংক্রমণ সারাতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
৪) খাবারের সঙ্গে কি আপনি কাটা পেঁয়াজ, পেঁয়াজের সালাদ বা ভর্তা খেতে ভালোবাসেন? এ অভ্যাসটা অন্যদেরও করা উচিত। পেঁয়াজ পাতলা করে কেটে তাতে পরিমাণমতো লবণ ও লেবু মিশিয়ে সালাদ বানিয়ে খেয়ে দেখুন। লেবু মেশালে স্বাদটা দারুণ লাগবে। কাঁচা পেঁয়াজ ভালো কোলেস্টেরোল বা এইচডিএল উৎপাদনে সহায়তা করে। এতে আপনার হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
৫) ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে পেঁয়াজ।
৬) পেঁয়াজ ক্যান্সারের পাশাপাশি ডায়াবেটিকসও প্রতিরোধ করে।
৭) কাঁচা পেঁয়াজ বাতের ব্যথার ক্ষেত্রে উপকারী।
৮) মৌমাছি বিষাক্ত হুল ফুটিয়েছে? পেঁয়াজের রসের ওপর নির্ভর করতে পারেন। তাৎক্ষণিকভাবে ব্যথা ও জ্বালাপোড়ার অনুভূতি থেকে মুক্তি পাবেন।
৯) পেঁয়াজ খাওয়ার অভ্যাস গ্যাস্ট্রিক আলসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
১০) হার্ট অ্যাটাক বা হার্টের অন্য সমস্যার পাশাপাশি ব্রেন স্ট্রোক প্রতিরোধেও পেঁয়াজের ভূমিকা অসামান্য।
১১) পেঁয়াজে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। তাই ফোঁড়া বা ঘা হলে তাতে পেঁয়াজের রস প্রয়োগ করলে তাড়াতাড়ি সেরে যায়।
১২) নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের হয়ে যায়।
১৩) হেঁচকি বন্ধ করতেও পেঁয়াজের রস অত্যন্ত কার্যকরি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন