Category Archives: মুখের ঘা

Aphthous stomatitis (মুখের ঘা) :- মুখের ভেতরে গালের মধ্যে বা জিহ্বার উপরে-নীচে ছোট ছোট ব্যথাযুক্ত ঘা হয়। একবার হয়, সেরে যায়, কিছুদিন পর আবার হয়। এভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ চলতে থাকে। এগুলোর কারণে খাওয়া-দাওয়া করা খুবই কষ্টদায়ক হয়ে পড়ে।

Hydrocotyle asiatica – হাইড্রোকোটাইল এসিয়াটিকা

Hydrocotyle asiatica – থানকুনি / হাইড্রোকোটাইল গাছ হতে প্রস্তুত। প্রাকৃতিক অবস্থা : আমবেলিফেরাই ।

(মুখের ঘা) হাইড্রোকোটাইল আরেকটি ভালো ঔষধ বিশেষত যাদের নিজেদের বা বংশগত সিফিলিসের ইতিহাস আছে।

Borax – বোরাক্স

Borax – সোডিয়াম বোরেট / সোহাগা / সোডি বোরাস হতে প্রস্তুত। রাসায়নিক চিহ্ন : Na2 B4 O+ 10H2O

বোরাক্স হলো মুখের ঘায়ের এক নাম্বার ঔষধ। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো নীচে নামতে ভয় পায়। শিশুকে হাত দিয়ে উপরে ধরে তারপর আস্তে আস্তে নীচে নামান, দেখবেন ভয় পায় কিনা। যদি ভয় পায় তবে কেবল মুখের ঘা নয়, শিশুর যে-কোন শারীরিক-মানসিক রোগই বোরাক্সে সেরে যাবে।

Hydrastis canadensis – হাইড্রাস্টিস ক্যান

হাইড্রাস্টিস ক্যান কোষ্টকাঠিন্যের একটি সেরা ঔষধ। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো হলদে রঙের পায়খানা এবং উপরের পেটে খালিখালি ভাব।

Hydrastis canadensis –  হাইড্রাসটিস মুখের ঘায়ের আরেকটি শ্রেষ্ট ঔষধ বিশেষত যাদের মুখের, চোখের বা ঘায়ের রং হলদেটে থাকে অর্থাৎ জন্ডিসের ভাব আছে।

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Natrum muriaticum – নেট্রাম মিউর

চুলের লাইন বরাবর খুসকি বা এই রকম ছাল ওঠা জাতীয় যে-কোন চর্মরোগে নেট্রাম মিউর প্রযোজ্য। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো  মুখ সাদাটে এবং ফোলা ফোলা, বেশী বেশী লবণ বা লবণযুক্ত খাবার খায়, কথা শিখতে বা পড়াশোনা শিখতে দেরী হয়, ঋতুস্রাবে রক্তক্ষরণ হয় খুবই অল্প, পা মোটা কিন্তু ঘাড় চিকন ইত্যাদি।

Natrum muriaticum – পক্ষান্তরে মানসিক আঘাত পাওয়ার পরে অনেক দিন কেটে গেলে তাতে নেট্রাম মিউর ঔষধটি প্রযোজ্য। সাধারণত খুবই সেনসেটিভ, সান্ত্বনা দিলে উল্টো আরো ক্ষেপে যায়, লবণ জাতীয় খাবার বেশী খায় ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে তাতে নেট্রাম মিউর ভালো কাজ করে।

Natrum muriaticum – অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোষ্টকাঠিন্যের একটি মুল কারণ হয়ে থাকে নাড়িভূড়ির দেওয়ালের শুষ্কতা (dryness of the bowel) আর এই কারণে নেট্রাম মিউর ঔষধটি কোষ্টকাঠিন্যের একটি অমুল্য ঔষধ। কেননা খাবার লবণ থেকে তৈরী করা এই ঔষধটি শরীরের সকল স্থানে পানির ভারসাম্য আনতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া যাদের বেশী বেশী লবণ খাওয়ার অভ্যাস আছে এবং যাদের মুখে ব্রণ হয় প্রচুর, তাদের কোষ্টকাঠিন্যসহ যে-কোন রোগে নেট্রাম মিউর যাদুর মতো কাজ করবে। এমনিভাবে Magnesia muriatica এবং Ammonium muriaticum ঔষধ দুইটিও কোষ্টকাঠিন্যের শ্রেষ্ট ঔষধ।

Natrum muriaticum – নাক দিয়ে পানি ঝরাসহ হঠাৎ সর্দির আক্রমণ হলে নেট্রাম মিউর দুয়েক ঘন্টা পরপর খেতে পারেন। এটিও সর্দির একটি ভালো ঔষধ।

Natrum muriaticum –   যারা অল্পতেই মনে আঘাত পায়, যাদের মাথায় অপ্রীতিকর চিন্তা সারাক্ষণ ঘুরপাক খায়, দুঃশ্চিন্তা করলে যাদের মাথা ব্যথা শুরু হয়, যাদের সান্ত্বনা দিলে উল্টো আরো খেপে যায়, তাদের এংজাইটিতে নেট্রাম মিউর ভালো কাজ করে।

Natrum muriaticum –   ক্লার্কের মতে, নেট্রাম মিউর মুখের ঘায়ের একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। এদের জিহ্বা থাকে মানচিত্রের মতো খাঁজ কাটা এবং স্থানে স্থানে লাল দাগ বিশিষ্ট।

Natrum muriaticum – যাদের ঋতুস্রাবে রক্তক্ষরণ হয় খুবই অল্প এবং যাদের পিরিয়ড প্রতিবারই কিছুদিন পিছিয়ে যায়, তাদের মাসিক বন্ধ হলে নেট্রাম মিউর প্রযোজ্য। এদের মুখ হয় সাদাটে এবং ফোলা ফোলা এবং বেশী বেশী লবণ বা লবণযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রতি তীব্র আকর্ষণ থাকে।

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Sanicula – স্যানিকিউলা

স্যানিকিউলা ঔষধটি মাথার পাশাপাশি চোখের পাতা এবং দাড়ির খুসকিও দূর করতে পারে। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো অকাল বার্ধক্য, প্রচুর খেয়েও দিন দিন শুকিয়ে যায়, পায়ের তালুতে জ্বালাপোড়া, পা থেকে দুর্গন্ধযুক্ত ঘাম বের হয় ইত্যাদি।

Sanicula –   মুখের ঘায়ে সেনিকিউলা’র লক্ষণ হলো তাতে গরম পানি খেয়ে মুখ পুড়ে যাওয়ার মতো জ্বালা-পোড়া ভাব থাকে এবং গরম কোন খাবার-পানি খেলে খুবই অসুবিধা হয়। যাদের শারীরিক অবস্থা খারাপ এমনকি গ্রীষ্মকালেও যাদের হাত-পা ঠান্ডা থাকে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Arsenicum album – আর্সেনিক

আর্সেনিকের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো উৎকন্ঠা, অস্থিরতা, জ্বালাপোড়া ভাব, খুঁতখুঁতে স্বভাব, কাজে কর্মে একবারে নিখুঁত (perfectionistic), মৃত্যুকে ভয় পায় আবার আত্মহত্যা করতেও চায়, রাত ১টা থেকে ২টা পযর্ন্ত বিষন্নতা বেড়ে যায়, অজানা অমঙ্গলের ভয়, মনে হয় মানুষ খুন করেছে এমন টেনশান করতে থাকে, মনে হয় এখনই পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করবে ইত্যাদি ইত্যাদি।

Arsenicum album – মাথার চামড়া শুকনা, খস্‌খসে, স্পর্শ করলে ব্যথা লাগে, বেশ গরম, রাতের বেলা ভীষণ চুলকায় ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে আর্সেনিক খেতে হবে।

Arsenicum album – পচাঁ, বাসি কিংবা বিষাক্ত কোন খাবার-পানীয় খাওয়ার কারণে পেটে ব্যথা হলে আর্সেনিক এক নাম্বার ঔষধ। কাচাঁ কোন ফল খেয়ে পেট ব্যথা হলেও আর্সেনিক খেতে হবে। পেটের ভেতরের কোন ক্যান্সারের কারণে পেট ব্যথা হলেও আর্সেনিক খেতে পারেন।

Arsenicum album – শরীরের অনেক গভীর পযর্ন্ত যদি পুড়ে যায়, তবে আর্সেনিক খাওয়াতে হবে। পোড়া জায়গাটি ধীরে ধীরে কালো হয়ে যায়, যাতে গ্যাংগ্রিন হয়ে গেছে বুঝা যায়। আক্রান্ত স্থান ফুলে যায় এবং তাতে ছুড়ি মারার মতো ব্যথা হয়। রোগী ভীষণ অস্থির হয়ে পড়ে, এক পজিশনে বেশীক্ষণ থাকতে পারে না। সে মনে করে ঔষধ খেয়ে কোন লাভ নেই, তার মৃত্যু হবে এখনই।

Arsenicum album – আর্সেনিক উদ্বেগ-উৎকন্ঠার একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ তাদের জন্য যারা কোন কিছু এলোমেলো দেখলে রেগে যান, ছোট-খাটো ব্যাপারেও ভীষণ সিরিয়াস, খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্বভাবের, সবকিছু নিজের কন্ট্রোলে রাখতে বদ্ধপরিকর। এরা দুশ্চিন্তায় খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে কিন্তু তারপরও অস্থিরতার কারণে এক স্থানে বা এক পজিশনে বেশীক্ষণ বসে থাকতে পারে না।

Arsenicum album – মুখের ঘায়ের রঙ যদি নীলচে রঙের হয় এবং তাতে জ্বালা-পোড়া ভাব থাকে, তবে আর্সেনিক তার উপযুক্ত ঔষধ।

Arsenicum album – গ্যাংগ্রিনে সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত ঔষধ হলো আর্সেনিক। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো ছুরি মারার মতো ভয়ঙ্কর ব্যথা, আক্রান্ত স্থান কালচে রঙ ধারণ করে, ভীষণ জ্বালাপোড়া ভাব, অস্থিরতা, ওজন কমে যাওয়া, ভীষণ দুর্বলতা ইত্যাদি। ব্যথা সাধারণত মধ্যরাতে বৃদ্ধি পায় এবং গরম শেক দিলে কমে যায়। রোগী মৃত্যুর ভয়ে কাতর হয়ে পড়ে। সাধারণত উচ্চ শক্তিতে খাওয়া উচিত এবং বিনা প্রয়োজনে ঘনঘন খাওয়া উচিত নয়।

Arsenicum album – অতীব মৃত্যুভয়, আমার রোগ কখনও ভালো হবে না, মৃত্যু নিশ্চিত ইত্যাদি লক্ষণে আর্সেনিক (৩০,২০০) আপনাকে আরোগ্য করবে।

 

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !