Tag Archives: পেট ব্যথা

Natrum sulphuricum – নেট্রাম সালফ

পেটে গ্যাস হওয়ার কারণে অর্থাৎ পেট ফাঁপার কারণে পেটে ব্যথা হলে নেট্রাম সালফ প্রযোজ্য। বিশেষত গল ব্লাডারে পাথর বা পিত্তথলির অন্য কোন সমস্যার কারণে পেট ব্যথা হলে, নেট্রাম সালফ খেতে হবে।

Natrum sulphuricum – যে-সব হাঁপানি ভিজা আবহাওয়ার সময় অথবা বর্ষাকালে বেড়ে যায়, তাতে নেট্রাম সালফ প্রযোজ্য। এটি ৩০ শক্তি থেকে শুরু করে ক্রমান্বয়ে শক্তি বাড়িয়ে খাওয়া উচিত।

Cuprum Metallicum – কিউপ্রাম মেট

ছুরি মারার মতো মারাত্মক পেট ব্যথা, কিছুক্ষণ পরপর বৃদ্ধি পায়। ঠান্ডা পানি খেলে ব্যথা ভীষণ বেড়ে যায়।

Cuprum Metallicum – কিউপ্রাম মেট মৃগী রোগের সবচেয়ে শক্তিশালী ঔষধ। ইহার প্রধান লক্ষণগুলো হলো চক্ষুগোলক উপরের দিকে উল্টে যায়, হাতের বৃদ্ধাগুলির আক্ষেপ, মাথা এবং পায়ের পাতাসহ সমস্ত শরীর পেছনের দিকে বেকে যায়, খিুচনি প্রথম শুরু হয় হাতের আঙুল অথবা পায়ের আঙুলে এবং পরে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে, দুটি আক্রমণের মধ্যবর্তী সময়ে রোগী খুব অস্থির থাকে। ভয় পেলে এবং পানিতে ভিজলে মৃগীর আক্রমণ হয়। ক্রোধ, বদমেজাজ, অন্যের ক্ষতি করার চেষ্টা ইত্যাদি এই ঔষধের মানসিক লক্ষণ।

 

Cocculus Indicus – ককুলাস

ককুলাস হলো মাথা ঘুরানির এক নম্বর ঔষধ। পেট ব্যথার সাথে মাথা ঘুরানি এবং কোষ্টকাঠিন্য থাকলে এটি ভালো কাজ করে।

Cocculus indicus : সাধারণত পেটের কোন গোলমালের কারণে যদি মাথা ঘুরায়, তবে ককুলাস ইন্ডিকাস প্রযোজ্য। সাথে বমিবমি ভাব এবং মাথা ব্যথা থাকতে পারে। সমুদ্র ভ্রমণ এবং রাত্রি জাগরণের কারণে মাথা ঘুরানিতে এটি উপকারী।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Pulsatilla pratensis – পালসেটিলা

গুরুপাক খাবার অর্থাৎ তেল-চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে পেট ব্যথা হলে পালসেটিলা খাওয়াতে হবে। গর্ভধারণের কারণে পেট ব্যথা হলেও ইহা প্রযোজ্য।

Pulsatilla – পালসেটিলা চিকেনপক্সের আরেকটি সেরা ঔষধ। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো গলা শুকিয়ে থাকে কিন্তু কোন পানি পিপাসা থাকে না, ঠান্ডা বাতাস/ ঠান্ডা খাবার/ ঠান্ডা পানি পছন্দ করে, গরম-আলো-বাতাসহীন বদ্ধ ঘরে বিরক্ত বোধ করে ইত্যাদি। আবেগপ্রবন, অল্পতেই কেঁদে ফেলে এবং যত দিন যায় ততই মোটা হতে থাকে, এমন মেয়েদের ক্ষেত্রে পালসেটিলা ভালো কাজ করে। এসব লক্ষণ কারো মধ্যে থাকলে যে-কোন রোগে পালসেটিলা খাওয়াতে হবে।

Pulsatilla – পালসেটিলা ঔষধটিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে পারে। ঠান্ডা মেজাজী এবং কথায় কথায় চোখ দিয়ে পানি ঝরে এমন মেয়েদের ওপর এটি বেশী কাজ করে।

Pulsatilla pratensis – যারা অল্পতেই কেঁদে ফেলে এবং নানানভাবে সান্ত্বনা দিলে ভালো থাকে, তাদের টেনশানে পালসেটিলা প্রযোজ্য।

Pulsatilla pratensis – মাসিক বন্ধের চিকিৎসায় হোমিও ঔষধগুলোর মধ্যে পালসেটিলার স্থান এক নম্বরে। এটি স্নেহপরায়ন, কথায় কথায় কেদে ফেলে, খুব সহজেই মোটা হয়ে যায়….এই ধরণের মেয়েদের বেলায় ভালো কাজ করে। মাত্রা হবে নিম্নশক্তিতে (Q, ৩, ৬ ইত্যাদি) ৫ থেকে ১০ ফোটা করে রোজ তিনবার।

Magnesia phosphorica

বিজলীর মতো পেট ব্যথা, একবার আসে একবার যায়। ব্যথা চাপ দিলে এবং গরম শেক দিলে কমে। ঠান্ডা বাতাসে বা ঠান্ডা পানি লাগলে ব্যথা বৃদ্ধি পায়।

Chamomilla – ক্যামোমিলা

যদি পেট ব্যথা বা অন্য কোন ব্যথার তীব্রতায় কোন রোগী দিগ্‌বিদিক জ্ঞানশূণ্য হয়ে পড়ে, তার ভদ্রতাজ্ঞানও লোপ পেয়ে যায়, সে ডাক্তার বা নার্সকে পযর্ন্ত গালাগালি দিতে থাকে; তবে তাকে ক্যামোমিলা খাওয়াতে হবে। ক্যামোমিলা হলো অভদ্র রোগীদের ঔষধ। শিক্ষকদের হাতে শিশুরা মার খাওয়ার ফলে এবং কোন কারণে ভীষণ রেগে যাওয়ার ফলে পেট ব্যথা শুরু হলে ক্যামোমিলা খাওয়াতে হবে। যারা ব্যথা একদম সহ্য করতে পারে না, ক্যামোমিলা হলো তাদের ঔষধ। ব্যথার সময় গাল গরম হয়ে যায়, মুখ লাল হয়ে যায় এবং ঘামতে থাকে।

Chamomilla – ভয়ানক বদমেজাজের জন্য নাক্স ভমিকা, ক্যামোমিলা কিংবা ক্যালি আয়োড ( ৩০,২০০) খান।

 

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Stannum metallicum – স্ট্যানাম

স্ট্যানাম-এর ব্যথার লক্ষণ হলো হালকা ব্যথা নিয়ে সেটি শুরু হয়, তারপর ধীরে ধীরে ব্যথা বাড়তে বাড়তে চরম পর্যায়ে পৌঁেছ যায় এবং শেষে আবারও ব্যথা আস্তে আস্তে কমতে কমতে পুরোপুরি চলে যায়।

Teucrium Marum verum – টিউক্রিয়াম

পেটে ব্যথার সাথে যদি মুখে পানি উঠতে থাকে, তবে কৃমির ঔষধ খাওয়া উচিত (যেমন- টিউক্রিয়াম)।

Teucrium : শিশুদের কান্নাকাটির কারণ থাকতে পারে পায়খানার রাস্তায় সুতাকৃমির উৎপাত। এজন্য পায়খানার রাস্তা যতটা সম্ভব ফাঁক করে দেখতে পারেন সুতাকৃমি দেখা যায় কিনা অথবা পায়খানা করে সময় খেয়াল রাখবেন পায়খানার সাথে কোন ধরনের কৃমি যায় কিনা । কৃমি পাওয়া গেলে Teucrium নামক ঔষধ দুটির যে-কোনটি রোজ দুইবেলা করে তিনদিন খাওয়ান।

Teucrium Marum verum : গুড়া কৃমি বা সুতা কৃমির সবচেয়ে ভালো এবং নিরাপদ ঔষধ হলো টিউক্রিয়াম। পায়খানার রাস্তায় ভীষণ চুলকানি থাকে।

Belladonna – বেলেডোনা

যে-কোনো তীব্র পেট ব্যথা যতক্ষণই থাকুক না কেন, যদি হঠাৎ আসে এবং হঠাৎ চলে যায়, তবে বেলেডোনা ঔষধটি খেতে থাকুন। বেলেডোনা’র ব্যথা সাধারণত শরীরের উপরের দিক থেকে নীচের দিকে যায়।

Belladonna – বেলেডোনা মৃগীর প্রথম দিকের আক্রমণে বেশী প্রযোজ্য। তাপ, লাল রঙ এবং জ্বালাপোড়া হলো বেলেডোনার তিনটি প্রধান লক্ষণ। যদি সারা শরীর গরম হয়ে যায়, মুখ লাল হয়ে যায় এবং শরীরে জ্বালাপোড়া হয়, তবে বেলেডোনা দিতে হবে। আলো, নড়াচড়া, গোলমাল এবং ঝাকুনিতে রোগের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়।

Belladonna – বেলেডোনা ঔষধটি ফোড়ার প্রথম দিকে ব্যবহার করতে হবে যখন ফোড়া মাত্র উঠেছে, আক্রান্ত স্থানটি গরম হয়ে আছে এবং লাল হয়ে ব্যথা করছে। বেলেডোনা ফোড়াতে পুঁজ হওয়া বন্ধ করে তাকে পাকতে দিবে না এবং তাকে বিসমিল্লাতেই খতম করে দিবে।

Belladonna – মজার মজার বিষয় কল্পনায় দেখে বা শোনে, ভীষণ ক্রুদ্ধ, হিংস্র চাহনি, রক্তচক্ষু, আঘাত করা বা কামড়ানোর প্রবনতা, কল্পনায় দৈত্য-দানব, ভূ-প্রেত, পোকা-মাকড় ইত্যাদি দেখা, আলোকভীতি, ভীতিকর স্বপ্নের জন্য ঘুমাতে না পারা, মসি-ষ্কের রক্তসঞ্চয় ইত্যাদি লক্ষণযুক্ত পাগলামীতে বেলেডোনা ঔষধটি অব্যর্থ। ৩, ৬ শক্তি দুই ঘণ্টা পরপর খাওয়াতে থাকুন।

 

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Dioscorea villosa – ডায়োস্কোরিয়া

ডায়োস্কোরিয়া’র পেটের ব্যথা পেটে চাপ দিলে অথবা সামনের দিকে বাঁকা হইলে বৃদ্ধি পায়। ডায়োস্কোরিয়া’র ব্যথা কিছুক্ষণ পরপর বৃদ্ধি পায় এবং পেট থেকে শরীরের বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে যায়। (শিশুদের কান্না-কাটি অথবা মেজাজ দেখানোর যদি কোন কারণ খুঁজে না পান, তবে নিশ্চিত ধরে নিতে পারেন তার পেটে ব্যথা হচ্ছে। কারণ দুধ এবং চিনি বেশী খাওয়ার কারণে তাদের পেটে গ্যাস এবং এসিডিটির সমস্যা থাকবেই। শিশুদের পেটের ব্যথা পেটে চাপ দিলে বাড়ে না কমে তা যদি বুঝতে না পারেন, তবে একবার Dioscorea এবং একবার Colocynthis দুটো ঔষধই একত্রে মিশিয়ে খাওয়াতে থাকুন)।

China officinalis – চায়না

অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে অজ্ঞান হলে চায়না ঘনঘন খাওয়াতে থাকুন।

China officinalis – ব্যথা যদি নির্দিষ্ট সময় পরপর একেবারে ঘড়ির কাটা কাটায় আসে, তবে তাতে চায়না প্রযোজ্য। ব্যথা পেটে চাপ দিলে কমে যায়। পেটে প্রচুর গ্যাস হওয়ার কারণে ব্যথা।

Collinsonia canadensis – কলিনসোনিয়া

কলিনসোনিয়া কোষ্টকাঠিন্যের একটি শ্রেষ্ট ঔষধ যদি সাথে পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা এবং পাইলস থাকে।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Plumbum metallicum – প্লামবাম

ইহার পায়খানাও ছাগলের লাদির মতো ছোট ছোট, শক্ত শক্ত কিন্তু এতে অল্প হলেও পায়খানার বেগ থাকে। পায়খানা বের করতে প্রসব ব্যথার মতো মারাত্মক ব্যথা লাগে। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো পেট ব্যথা যাতে মনে হয় কেউ যেন পেটের নাড়িভূড়িকে সুতা দিয়ে বেধে পিঠের দিকে টানতেছে।

Plumbum metallicum – পেট ব্যথার সাথে যদি কোষ্টকাঠিন্য/শক্ত পায়খানা থাকে, তবে প্রথমেই প্লামবাম ঔষধটি খাওয়ার কথা চিন্তা করতে হবে। প্লামবামের পেট ব্যথার লক্ষণ হলো, মনে হবে পেটের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে কেউ যেন সুতো দিয়ে বেঁধে পিঠের দিকে টানতেছে।

Plumbum metallicum –  প্লামবামের মৃগীর আক্রমণের সূচনা হয় হাই তোলা অথবা মাথাঘুরানির মাধ্যমে এবং আক্রমণের শেষে মনের অবস্থা হয় কিংকর্তব্যবিমূঢ় অর্থাৎ রোগীর আক্কল-বুদ্ধি ফিরে পেতে অনেক সময় লাগে। আক্রমণের পরে মাথা ডান দিকে কাত হয়ে থাকে। মাথার রক্তনালীর রোগ এবং ব্রেন টিউমারের কারণে মৃগী হলে এটি প্রযোজ্য। সাথে যদি পুরনো কোষ্টকাঠিন্য এবং পেট ব্যথার সমস্যা থাকে, তবে অবশ্যই প্লামবাম প্রয়োগ করতে হবে।

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Nux vomica – নাক্স ভমিকা

হোমিওপ্যাথিতে কোষ্টকাঠিন্যের জন্য সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত ঔষধ হলো নাক্স ভমিকা। দিনরাতের বেশীর ভাগ সময় শুয়ে-বসে কাটায়, ভয়ঙ্কর বদমেজাজী, শীতকাতর, কথার বিরোধীতা সহ্য করতে পারে না ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে এটি ভালো কাজ করে। বিশেষত যারা দীর্ঘদিন পায়খানা নরম করার এলোপ্যাথিক ঔষধ খেয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে এটি বেশী প্রযোজ্য। (* অনেক হোমিও বিজ্ঞানী কোষ্টকাঠিন্য এবং পাইলসের রোগীদেরকে সকালে সালফার এবং সন্ধ্যায় নাক্স ভমিকা- এভাবে খেতে দিতেন। কেননা এই দুটি ঔষধ একে অন্যকে সাহায্য করে।)

Nux vomica – নাক্স ভমিকা পেট ব্যথার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। খাওয়া-দাওয়ার কোন গন্ডগোলের কারণে পেট ব্যথা হলে এটি প্রয়োগ করতে হয়। গলব্লাডার বা কিডনী রোগ যে-কারণেই পেট ব্যথা হোক না কেন। শীতকাতর এবং বদমেজাজী লোকদের বেলায় এটি ভালো কাজ করে।

Nux vomica – যারা (মৃগীরোগী) অধিকাংশ সময়ে বদহজমে ভোগে, বদমেজাজী এবং অল্প শীতেই কাতর হয়ে পড়ে, এটি তাদের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। ইহার সতর্কীকরণ লক্ষণ (aura) পেটের উপরের অংশে শুরু হয়ে থাকে এবং মুখের ওপর পোকা হাটতেছে এমন মনে হয়।

Nux vomica – নাক্স ভমিকা ঔষধটি ক্ষুধা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী ঔষধ। যারা পরিশ্রমের কাজ কম করে কিন্তু টেনশন বেশী করে, দিনের বেশীর ভাগ সময় চেয়ারে বসে থাকে, সারা বছরই পেটের গন্ডগোল লেগেই থাকে, শীত সহ্য করতে পারে না…..এই ধরণের লোকদের ক্ষেত্রে নাক্স ভমিকা ভালো কাজ করে।

Nux vomica – মদ-ফেনসিডিল দীর্ঘদিন সেবনে শরীরের যে ক্ষতি হয়, নাক্স ভমিকা তাকে পুষিয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি এটি মদ-ফেনসিডিলের নেশা ছাড়তে ব্যবহার করতে পারেন। মাত্রা হবে নিম্নশক্তিতে (Q, ৩, ৬ ইত্যাদি) ৫ থেকে ১০ ফোটা করে রোজ তিনবার।

Nux vomica – ভয়ানক বদমেজাজের জন্য নাক্স ভমিকা, ক্যামোমিলা কিংবা ক্যালি আয়োড ( ৩০,২০০) খান।

Nux vomica – রাতে বিছানায় যাওয়ার পরে সারাদিনের কাজ-কর্মের চিন্তা মাথার ভিতরে কিলবিল করতে থাকে ; ফলে ঘুম আসতে চায় না। বিশেষত যারা বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য সেবন করে, বেশী বেশী চা-কফি পান করেন, যাদের পেটের অসুখ বেশী হয়, নাক্স তাদের অনিদ্রায় ভালো কাজ করে থাকে।

সরাসরি online থেকে Nux vomica  নাক্স ভমিকা ঔষধ ক্রয় করুন !

Ipecac – ইপিকাক

ইপিকাকের প্রধান লক্ষণ হলো বমি বিম ভাব এবং পরিষ্কার জিহ্বা। হালকা কাশি থেকে নিউমোনিয়া, হুপিং কাশি এবং হাঁপানির মতো মারাত্মক কাশিতেও ইপিকাক দিতে পারেন যদি উপরোক্ত লক্ষণ দুইটি কারো মধ্যে বিদ্যমান থাকে।

Ipecac – পেট ব্যথা সাথে যদি বমিবমি ভাব থাকে, তবে তাতে ইপিকাক প্রযোজ্য। পেট ব্যথা এমন সাংঘাতিক যেন মনে হয় নাড়িভুড়িকে কেউ হাত দিয়ে কচলাচ্ছে।

Ipecac – পিত্ত পাথর বা গল ব্লাডারের পাথরের ব্যথা দূর করতে ইপিকাক একটি শ্রেষ্ট ঔষধ (যদি বমিবমি ভাব থাকে)।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Arsenicum album – আর্সেনিক

আর্সেনিকের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো উৎকন্ঠা, অস্থিরতা, জ্বালাপোড়া ভাব, খুঁতখুঁতে স্বভাব, কাজে কর্মে একবারে নিখুঁত (perfectionistic), মৃত্যুকে ভয় পায় আবার আত্মহত্যা করতেও চায়, রাত ১টা থেকে ২টা পযর্ন্ত বিষন্নতা বেড়ে যায়, অজানা অমঙ্গলের ভয়, মনে হয় মানুষ খুন করেছে এমন টেনশান করতে থাকে, মনে হয় এখনই পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করবে ইত্যাদি ইত্যাদি।

Arsenicum album – মাথার চামড়া শুকনা, খস্‌খসে, স্পর্শ করলে ব্যথা লাগে, বেশ গরম, রাতের বেলা ভীষণ চুলকায় ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে আর্সেনিক খেতে হবে।

Arsenicum album – পচাঁ, বাসি কিংবা বিষাক্ত কোন খাবার-পানীয় খাওয়ার কারণে পেটে ব্যথা হলে আর্সেনিক এক নাম্বার ঔষধ। কাচাঁ কোন ফল খেয়ে পেট ব্যথা হলেও আর্সেনিক খেতে হবে। পেটের ভেতরের কোন ক্যান্সারের কারণে পেট ব্যথা হলেও আর্সেনিক খেতে পারেন।

Arsenicum album – শরীরের অনেক গভীর পযর্ন্ত যদি পুড়ে যায়, তবে আর্সেনিক খাওয়াতে হবে। পোড়া জায়গাটি ধীরে ধীরে কালো হয়ে যায়, যাতে গ্যাংগ্রিন হয়ে গেছে বুঝা যায়। আক্রান্ত স্থান ফুলে যায় এবং তাতে ছুড়ি মারার মতো ব্যথা হয়। রোগী ভীষণ অস্থির হয়ে পড়ে, এক পজিশনে বেশীক্ষণ থাকতে পারে না। সে মনে করে ঔষধ খেয়ে কোন লাভ নেই, তার মৃত্যু হবে এখনই।

Arsenicum album – আর্সেনিক উদ্বেগ-উৎকন্ঠার একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ তাদের জন্য যারা কোন কিছু এলোমেলো দেখলে রেগে যান, ছোট-খাটো ব্যাপারেও ভীষণ সিরিয়াস, খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্বভাবের, সবকিছু নিজের কন্ট্রোলে রাখতে বদ্ধপরিকর। এরা দুশ্চিন্তায় খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে কিন্তু তারপরও অস্থিরতার কারণে এক স্থানে বা এক পজিশনে বেশীক্ষণ বসে থাকতে পারে না।

Arsenicum album – মুখের ঘায়ের রঙ যদি নীলচে রঙের হয় এবং তাতে জ্বালা-পোড়া ভাব থাকে, তবে আর্সেনিক তার উপযুক্ত ঔষধ।

Arsenicum album – গ্যাংগ্রিনে সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত ঔষধ হলো আর্সেনিক। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো ছুরি মারার মতো ভয়ঙ্কর ব্যথা, আক্রান্ত স্থান কালচে রঙ ধারণ করে, ভীষণ জ্বালাপোড়া ভাব, অস্থিরতা, ওজন কমে যাওয়া, ভীষণ দুর্বলতা ইত্যাদি। ব্যথা সাধারণত মধ্যরাতে বৃদ্ধি পায় এবং গরম শেক দিলে কমে যায়। রোগী মৃত্যুর ভয়ে কাতর হয়ে পড়ে। সাধারণত উচ্চ শক্তিতে খাওয়া উচিত এবং বিনা প্রয়োজনে ঘনঘন খাওয়া উচিত নয়।

Arsenicum album – অতীব মৃত্যুভয়, আমার রোগ কখনও ভালো হবে না, মৃত্যু নিশ্চিত ইত্যাদি লক্ষণে আর্সেনিক (৩০,২০০) আপনাকে আরোগ্য করবে।

 

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Ignatia amara – ইগ্নেশিয়া

অল্প সময় বা অল্প কয়েকদিন পূর্বে বড় ধরণের মানসিক আঘাত পাওয়ার কারণে বিষন্নতার সৃষ্টি হলে তাতে ইগ্নেশিয়া প্রয়োগ করতে হবে। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো কোন কারণ ছাড়াই হাসে-কাদে, কিছুক্ষণ পরপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে, হাই তোলে, গলার মধ্যে একটা চাকার মতো কিছু আটকে আছে মনে হওয়া, নিদ্রাহীনতা, মাথাব্যথা, পেটের মধ্যে খামচে ধরা ব্যথা ইত্যাদি।

Ignatia – ইগ্নেশিয়া হলো অদ্ভূত সব লক্ষণের ঔষধ। যেমন কানের শো শো শব্দ গান শুনলে কমে যায়, পাইলসের ব্যথা হাটলে কমে যায়, গলা ব্যথা ঢোক গেলার সময় কমে যায়, মাথা ব্যথা মাথা নীচু করলে কমে যায় ইত্যাদি। যত কাশে তত কাশি বেড়ে যায়- এই লক্ষণ থাকলে তাতে ইগ্নেশিয়া প্রয়োগ করতে হবে। সাধারণত শোক, দুঃখ, বিরহ, বিচ্ছেদ, প্রেমে ব্যর্থতা, আপনজনের মৃত্যু ইত্যাদি কারণে যে-কোন রোগ হলে তাতে ইগ্নেশিয়া প্রযোজ্য।

Ignatia – দুঃসংবাদ শুনে অজ্ঞান হলে ইগ্নেশিয়া ঔষধটি পাঁচ/দশ মিনিট পরপর খাওয়ান।

Ignatia – দুঃসংবাদ শোনার পরে অথবা বিরহ-বিচ্ছেদ-ছ্যাকা খাওয়ার কারণে, মনে কষ্ট পাওয়ার কারণে পেটে ব্যথা হলে ইগ্নেশিয়া খেতে হবে।

Ignatia – সাধারণত শোক, দুঃখ, বিরহ, বিচ্ছেদ, হতাশা, সমালোচনা, একাকিত্ব ইত্যাদি আবেগজনিত কারণে এংজাইটি হলে ইগ্নেশিয়া ঔষধটি দারুণ কাজে দিবে। উপরোক্ত আবেগজনিত কারণে অনিদ্রা, পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা, ডায়েরিয়া, মাথা ঘুরানি, কান্নাকাটি ইত্যাদি যে-কোন সমস্যা দেখা দিলে ইগ্নেশিয়া আপনাকে তা থেকে সহজেই মুক্তি দিবে।

Ignatia – প্রেমে ব্যর্থতা, বিষণ্নতা, আপনজনের মৃত্যু, বিরহ, ভীষণ মানসিক কষ্ট ইত্যাদির পরে প্রথমে ইগ্নেশিয়া(৩,৬) এবং পরে নেট্রাম মিউর (২০০, ১০০০) খাওয়া জরুরি।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !