Category Archives: বুকের ব্যথা

Angina pectoris, cardiac pain, chest pain (হৃৎপিন্ডের ব্যথা, হৃদশূল, বুকের ব্যথা) :- সাধারণত হৃৎপিন্ডের পেশীতে অক্সিজেন সাপ্লাই কমে গেলে তাতে এক ধরণের মারাত্মক ব্যথা, শ্বাসকষ্ট অনুভুত হয়। এটি কোন রোগ নয় বরং অন্য কোন হৃৎরোগের একটি লক্ষণ। ব্যথা বুকের বাম পাশে দেখা দেয় এবং সেখান থেকে বাম হাতে, ঘাড়ে, চোয়ালের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে। হৃৎপিন্ডের ব্যথা সাধারণত খুব অল্প সময় স্থায়ী হয় এবং ব্যথা এতো প্রচণ্ড হয় যে রোগীর ধারণা জন্মে যে, সে এখনই মারা যাবে ; তার দিন ফুরিয়ে এসেছে। শারীরিক পরিশ্রম, মানসিক উত্তেজনা, খুবই ঠান্ডা আবহাওয়া ইত্যাদি কারণে বুকের ব্যথা শুরু হয়। আসল হৃৎরোগ নিরাময় না হওয়া পযর্ন্ত বুকের ব্যথা থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি মেলে না। বুকের ব্যথার ঔষধ অবশ্যই খুব ঘনঘন (পাঁচ মিনিট পরপর) খাবেন।

Cactus grandiflorus

ইহাও হৃৎপিন্ডের ব্যথার একটি উল্লেখযোগ্য ঔষধ। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো মনে হবে হৃৎপিন্ডকে কেউ তার লোহার হাত দিয়ে এমনভাবে চেপে ধরেছে যে, সেটি নড়াচড়া করতে পারছে না।
(তাছাড়া Actea racemosa / Cimicifuga, Spigelia anthelmia, Naja tripudians, Kalmia latifolia এবং Spongia tosta ঔষধগুলোও হৃৎপিন্ডের ব্যথার জাদরেল ঔষধ।

Crataegus oxyacantha

এটি হৃৎপিন্ডের রোগের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ অথাৎ হৃদপিন্ডের দুবলতার একটি শ্রেষ্ট টনিক এবং এনজাইনারও একটি ভালো ঔষধ।

Amylenum nitrosum

এটি হৃৎপিন্ডের ব্যথার সবচেয়ে কমন ঔষধ। এটি হৃৎপিন্ড এবং শরীরের ওপরের অংশের রক্তনালীকে প্রসারিত করার মাধ্যমে বুকের ব্যথা নিরাময় করে।

Latrodectus mactans – লেট্রোডেক্টাস ম্যাকটেনস

এনজিনা পেক্টোরিসের সবচেয়ে ভালো ঔষধ হলো লেট্রোডেক্টাস ম্যাকটেনস (Latrodectus mactans) বিশেষত ব্যথা যখন বাম হাতের দিকে ছড়াতে থাকে। মনে হয় কেউ যেন শক্ত হাতে গলা চেপে ধরেছে ; দম বন্ধ হয়ে এখনই মারা যাবে।

Glonoine – গ্লোনইন

কড়া রৌদ্রে থাকার কারণে মাথাব্যথা বা অজ্ঞান হলে গ্লোনইন দশ মিনিট পরপর খাওয়াতে থাকুন।

Glonoine – গ্লোনইন হলো বুকের ব্যথার এক নাম্বার ঔষধ যা সুনির্দিষ্ট কোন লক্ষণ ছাড়াই দেওয়া যায়। পাশাপাশি এটি হাই ব্লাড প্রেসারেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ।

Arnica montana – আর্নিকা

বুকে বা অন্য কোথাও আঘাত পাওয়ার কারণে যদি কাশি দেখা দেয়, তবে আর্নিকা হলো তার এক নাম্বার ঔষধ। কাশি দিলে যদি বুকে বা গলায় ব্যথা পাওয়া যায়, তবে এমন কাশিতে আর্নিকা খেতে ভুলবেন না। অনেক সময় দেখবেন, শিশুরা কাশির সময় বা কাশির আগে-পরে কাদতে থাকে। ইহার মানে হলো কাশির সময় সে বুকে বা গলায় প্রচণ্ড ব্যথা পায়। এরকম কাশিতে আর্নিকা দিতে হবে। আর্নিকার কাশিতে গলায় সুড়সুড়ি হয়, শিশু রেগে গেলে কাশতে শুরু করে।

Arnica montana – আর্নিকা বুকে ব্যথার সবচেয়ে ভালো ঔষধ। যাদের ঘনঘন বুকে ব্যথা উঠে অথবা যাদের একবার হার্ট এটাক (স্ট্রোক) হয়েছে, তাদের সব সময় আর্নিকা ঔষধটি পকেটে নিয়ে চলাফেরা করা উচিত। এটি আপনাকে হার্ট এটাকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যাওয়া বা অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করবে।

Arnica montana – ব্যথা পাওয়া বা আঘাত পাওয়ার পরে কোষ্টকাঠিন্য দেখা দিলে আর্নিকা খেতে হবে।

Arnica montana – উপর থেকে পড়ে গিয়ে বা আঘাত পেয়ে মুচর্ছা গেলে আর্নিকা দশ মিনিট পরপর খাওয়াতে থাকুন।

Arnica montana – আর্নিকা ঔষধটির টাকে চুল গজানোর ক্ষমতা আছে। এটি নিম্নশক্তিতে (Q, ৩, ৬) তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করুন অথবা সরাসরি টাক পড়া স্থানে মালিশ করতে পারেন।

Arnica montana – রাতের বেলা হঠাৎ মৃত্যু ভয় নিয়ে ঘুম ভেঙ্গে গেলে (এখনই মারা যাবো এমন আশঙ্কা করলে, হার্টের অসুখ থাক বা না থাক) Arnica montana ঘনঘন খেতে থাকুন। এটি হার্ট এটাক ঠেকানোর শ্রেষ্ট ঔষধ।

Arnica montana – যে-কোন ঘা কিংবা ফোড়ায় আর্নিকার প্রধান লক্ষণ হলো মাত্রাতিরিক্ত ব্যথা। তাতে স্পর্শ করলে এমনই প্রচণ্ড ব্যথা হয় যে, রোগী তার দিকে কাউকে আসতে দেখলেই ভয় পেয়ে যায় এবং সাবধানতা অবলম্বন করে যাতে ফোড়া-ঘায়ে কোন ধাক্কা না লাগে। যাদের শরীরে ছোট ছোট ফোড়া একটার পর একটা উঠতেই থাকে এবং সেগুলোতে প্রচণ্ড ব্যথা থাকে, তারা আর্নিকা খেতে ভুলবেন না। কোন স্থানে আঘাত লেগে যদি ঘা হয় বা ফোড়া হয়, তবে আর্নিকা সেবন করা উচিত। আর্নিকা কেবল ব্যথার ঔষধ নয় বরং এটি একই সাথে ঘা/পুঁজ ও সারিয়ে দেয় অর্থাৎ এন্টিবায়োটিকের কাজও করে থাকে।

Arnica montana – শরীরের কোনো স্থানে, কোমরে বা পেশীতে টান পড়লে Arnica montana অথবা Bellis perennis একমাত্রা করে দুই ঘণ্টা পরপর খাওয়াতে থাকুন।

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !