সাক্ষ্য না দিয়েই দেশে ফিরে এলেন ফেলানীর বাবা

আজ শনিবার বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল ফেলানীর বাবা নুর ইসলামের। ভারতের কুচবিহারের বিএসএফের সেক্টর হেড কোয়ার্টারে স্থাপিত বিশেষ আদালত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যা মামলার রায় পুনর্বিবেচনার কার্যক্রম তিনদিনের জন্য মুলতবি করায় সাক্ষ্য না দিয়েই ফিরে এলেন ফেলানীর বাবা।

এর আগে, গত ২২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) কুচবিহারের বিএসএফের সদর দফতরে স্থাপিত বিশেষ আদালতের স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্টে এ বিচার কাজ শুরু হয়।

জানা যায়, ফেলানী হত্যার পুনর্বিবেচনার সাক্ষ্য দিতে আজ শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টায় কুড়িগ্রামের ৪৫ বিজিবির সদর দফতর থেকে ভারতের উদ্দেশে রওয়ানা দেন ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম, পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন ও ৪৫ বিজিবি পরিচালক লে. কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ। পথিমধ্যে তারা জানতে পারেন, বিএসএফের বিশেষ আদালত বিচারিক কার্যক্রম তিনদিনের জন্য মুলতবি ঘোষণা করেছেন। সে কারণে সাক্ষ্য না দিয়েই সকাল ১১টার দিকে মাঝপথ থেকে ফিরে আসেন তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলটি।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী বাবার সঙ্গে ভারত থেকে ফুলবাড়ীর অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে ফেরার পথে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ তাকে গুলি করে লাশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখে।।বিষয়টি দেশ-বিদেশে মিডিয়ার প্রচার হলে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। তখন ভারতের বিশেষ আদালত অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয়।

homeopathybd
ঔষধী গাছ

Leave a comment