Category Archives: হাঁপানি

Asthma (হাঁপানি) :- হাঁপানি হলো কিছুদিন পরপর বারে বারে আসা শ্বাসকষ্টের নাম যাতে শ্বাসনালী চিকন হওয়ার কারণে শ্বাস নেওয়ার অথবা ছাড়ার সময় হিস হিস শব্দ হয়। হাঁপানির সাথে কখনও কখনও কাশি থাকে এবং আঠালো কফ উঠে। হাঁপানির আক্রমণ যখন তীব্র হয়, তখন লক্ষণ অনুযায়ী ঔষধ খেয়ে জীবন বাঁচাতে হবে। তারপর যখন হাঁপানির আক্রমণ চলে যায়, তখন হাঁপানির কারণ অনুযায়ী মূল ঔষধ খেয়ে তাকে স্থায়ীভাবে নির্মূল করতে হবে। হাঁপানিকে স্থায়ীভাবে নিরাময় করা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে অসম্ভব হলেও একজন সুদক্ষ হোমিও চিকিৎসকের পক্ষে অসম্ভব নয়। হাঁপানির নাম (bronchial asthma, allergic asthma, asthma in children, exercise- induced asthma, Bronchitis) যা-ই হোক না কেন, ঔষধ খেতে হবে লক্ষণ অনুসারে। হাঁপানিকে স্থায়ীভাবে সারানোর ক্ষমতা পৃথিবীতে একমাত্র হোমিও ঔষধেরই আছে। হ্যাঁ, ঔষধ বা অন্য যে-সব জিনিস বা খাবারের কারণে হাঁপানি বেড়ে যায়, সেগুলো বাদ দিয়ে চলতে হবে। যেমন – বেশী পরিশ্রম, আবেগপ্রবন / উত্তেজিত হওয়া, নির্দিষ্ট কোন একটি ঔষধ (যেমন- বাতের ঔষধ), বিড়াল-কুকুরের পশম, ফুলের রেণু, গরুর মাংস, ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, কচুঁ শাক, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, ডাল ইত্যাদি ইত্যাদি।
* প্রথমত হাঁপানির সাথে যদি কাশি থাকে, তবে “কাশি” অধ্যায়ে বর্ণিত লক্ষণ অনুযায়ী ঔষধ খেয়ে সেটি নিরাময় করুন। তারপর হাঁপানির তীব্রতা কমে আসলে স্থায়ীভাবে সারানোর জন্য প্রায়ই নীচের ঔষধগুলো খাওয়ানো লাগতে পারে।

Syphilinum – সিফিলিনাম

অতীতে যাদের সিফিলিস হয়েছিল অথবা যাদের পিতা-মাতা-স্বামী-স্ত্রীর সিফিলিস ছিল, তাদেরকে সিফিলিনাম না খাইয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাঁপানি স্থায়ীভাবে সারানো যায় না। সিফিলিনামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রাতের বেলা সকল রোগ বৃদ্ধি পায়, বাতের সমস্যা লেগেই থাকে, দাঁত দ্রুত ক্ষয় হয়ে যায়, মদ বা অন্যান্য মাদক দ্রব্যের প্রতি আসক্তি, স্মরণশক্তি দুর্বল, বেশী বেশী হাত ধোয়ার অভ্যাস, দুরারোগ্য কোষ্টকাঠিন্য ইত্যাদি। এটি ২০০, ১০০০ এবং ১০,০০০ শক্তিতে একমাস পরপর মোট ৩ মাত্রা খাওয়া উচিত।

Medorrhinum – মেডোরিনাম

অতীতে যাদের গনোরিয়া (Gonorrhoea) হয়েছিল অথবা যাদের পিতা-মাতা-স্বামী-স্ত্রীর গনোরিয়া ছিল, তাদেরকে মেডোরিনাম না খাইয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাঁপানি স্থায়ীভাবে সারানো যায় না। মেডোরিনামের প্রধান লক্ষণ হলো পেট নীচের দিকে এবং পিঠ উপরের দিকে দিয়ে শুইলে (নামাযের সেজদার পজিশনে) এবং জিহ্বা বের করে রাখলে হাঁপানি কমে এবং এরা গরম সহ্য করতে পারে না। এটি ২০০, ১০০০ এবং ১০,০০০ শক্তিতে একমাস পরপর মোট ৩ মাত্রা খাওয়া উচিত।

Medorrhinum – শিশুদের মাত্রাতিরিক্ত দুষ্টুমির জন্য মেডোরিনাম ( ১০০০) খাওয়ান। যারা ঘরের ভেতর স্বৈরাচার কিন্তু বাইরে অতিশয় ভদ্রলোক তাদের জন্য লাইকো (১০,০০০) ঔষধটি খুবই ফলদায়ক।

 

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Bacillinum – বেসিলিনাম

অতীতে যাদের যক্ষ্মা হয়েছিল অথবা যাদের পিতা-মাতা-ভাই-বোন বা স্বামী-স্ত্রীর যক্ষ্মা বা হাঁপানি ছিল, তাদেরকে বেসিলিনাম না খাইয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাঁপানি স্থায়ীভাবে সারানো যায় না। বেসিলিনামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো ঘনঘন সর্দি লাগা, ভীষণ ক্ষুধা, প্রচুর খায় কিন্তু তারপরও দিনদিন শুকিয়ে যায়, ভ্রমণ করতে খুবই পছন্দ করে, খোলা বাতাসের জন্য পাগল, এক জায়গায় বেশী ক্ষণ থাকতে – এক কাজ বেশী ক্ষণ করতে ভালো লাগে না, রাতের বেলা হাঁপানি বেড়ে যায়। এটি ২০০, ১০০০ এবং ১০,০০০ শক্তিতে একমাস পরপর মোট ৩ মাত্রা খাওয়া উচিত।

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Pothos Foetida – পোথোজ

ধুলোবালির কারণে যদি হাঁপানীর ‍আক্রমণ হয় অথবা হাঁপানীর উৎপাত বৃদ্ধি পায়, তবে চোখ বুজে পোথোজ খেতে পারেন।

Psorinum – সোরিনাম

শুয়ে থাকলে এবং দুই হাত ছড়িয়ে রাখলে হাঁপানীর কষ্ট কমে এবং হাত বুকের কাছে আনলে কষ্ট বৃদ্ধি পায়, লক্ষণে সোরিনাম খেতে হবে।

Arsenicum Iodatum – আর্সেনিকাম আয়োডেটাম

শীতকাতর রোগী কিন্তু গরমে হাঁপানীর কষ্ট বৃদ্ধি পায়, লক্ষণে আর্সেনিকাম আয়োডেটাম খেতে হবে ।

Natrum sulphuricum – নেট্রাম সালফ

পেটে গ্যাস হওয়ার কারণে অর্থাৎ পেট ফাঁপার কারণে পেটে ব্যথা হলে নেট্রাম সালফ প্রযোজ্য। বিশেষত গল ব্লাডারে পাথর বা পিত্তথলির অন্য কোন সমস্যার কারণে পেট ব্যথা হলে, নেট্রাম সালফ খেতে হবে।

Natrum sulphuricum – যে-সব হাঁপানি ভিজা আবহাওয়ার সময় অথবা বর্ষাকালে বেড়ে যায়, তাতে নেট্রাম সালফ প্রযোজ্য। এটি ৩০ শক্তি থেকে শুরু করে ক্রমান্বয়ে শক্তি বাড়িয়ে খাওয়া উচিত।

Aconitum napellus – একোনাইট ন্যাপ

যে-কোন ধরনের কাশি হউক না কেন, যদি প্রথম থেকেই মারাত্মক আকারে দেখা দেয় অথবা কাশি শুরু হওয়ার দু’চার ঘণ্টার মধ্যে সেটি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে, তবে একোনাইট হলো তার এক নাম্বার ঔষধ। একোনাইটের রোগকে তুলনা করা যায় ঝড়-তুফান্তটর্নেডোর সাথে- অতীব প্রচণ্ড কিন্তু ক্ষণস্থায়ী। কাশিও যদি তেমনি হঠাৎ করে মারাত্মক আকারে শুরু হয়, তবে একোনাইট সেবন করুন। কাশির উৎপাত এত বেশী হয় যে তাতে রোগী মৃত্যুর ভয়ে কাতর হয়ে পড়ে।

Aconitum napellus –  হাঁপানীর আক্রমণের যখন সেটি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে, তখন খাওয়াতে পারলে একোনাইট কাজ করবে যাদুর মতো। হাঁপানীর আক্রমণ এত মারাত্মক হয় যে তাতে রোগী মৃত্যুর ভয়ে শংকিত হয়ে পড়ে।

Aconitum napellus –  এংজাইটি বা টেনশান যদি হঠাৎ দেখা দেয় এবং সাথে যদি ‘এখনই মরে যাব’ এমন ভয় হতে থাকে, তবে একোনাইট খেতে হবে।

Aconitum napellus –  ভয় পেয়ে মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে একোনাইট খেতে হবে।

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Thuja occidentalis – থুজা

খুসকির একটি মূল কারণ হলো টিকা (বিসিজি, ডিপিটি, এটিএস, পোলিও, হেপাটাইটিস, এটিএস ইত্যাদি) নেওয়া। টিকা নিলে কেবল খুসকিই হয় না বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে চুল পাতলা হয়ে যায় এবং পাতলা হতে হতে টাক পড়ে যায়। কাজেই কোন টিকা নেওয়ার দুয়েক মাস থেকে দুয়েক বছরের মধ্যে খুসকি দেখা দিলে প্রথমেই থুজা নামক ঔষধটি খেতে হবে। বিশেষ করে খুসকির সাথে যাদের শরীরে আঁচিলও আছে, তাদের প্রথমেই সপ্তাহে একমাত্রা করে কয়েক মাত্রা খুজা খেয়ে নেওয়া উচিত।

Thuja occidentalis – টিকা (vaccines) হলো হাঁপানি হওয়ার একটি সবচেয়ে বড় কারণ। যেমন-বিসিজি, ডিপিটি, হাম, পোলিও, এটিএস, হেপাটাইটিস ইত্যাদি ইত্যাদি। টিকা নেওয়ার কারণে হাঁপানি হলে সেক্ষেত্রে থুজা একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। সুতরাং যে-সব হাঁপানি রোগী অতীতে এসব অথবা অন্য কোন টিকা নিয়েছেন, তাদেরকে অবশ্যই ৫/৬ মাত্রা থুজা খাওয়াতে হবে। যারা শীত সহ্য করতে পারে না এবং উপর থেকে পড়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে, তাদের ক্ষেত্রে থুজা প্রযোজ্য। এটি ২০০ শক্তিতে দশ দিন পরপর খাওয়া উচিত।

Thuja occidentalis – টাকের একটি মূল কারণ হলো টিকা (বিসিজি, ডিপিটি, এটিএস, পোলিও, হেপাটাইটিস, এটিএস ইত্যাদি) নেওয়া। টিকা নিলে কেবল খুসকিই হয় না বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে চুল পাতলা হয়ে যায় এবং পাতলা হতে হতে টাক পড়ে যায়। কাজেই কোন টিকা নেওয়ার দুয়েক মাস থেকে দুয়েক বছরের মধ্যে খুসকি দেখা দিলে প্রথমেই থুজা নামক ঔষধটি খেতে হবে। বিশেষ করে খুসকির সাথে যাদের শরীরে আঁচিলও আছে, তাদের প্রথমেই কয়েক মাত্রা খুজা খেয়ে নেওয়া উচিত।

Thuja occidentalis – থুজা ব্রণের আরেকটি ভালো ঔষধ বিশেষত সেগুলো যদি টিকা নেওয়ার কারণে হয়ে থাকে।

Thuja occidentalis – শিশুদের কান্নাকাটি এবং বদমেজাজের একটি বড় কারণ হলো টিকা (vaccine) নেওয়া। সাধারণত বিসিজি, ডিপিটি, এটিএস, হাম, পোলিও, হেপাটাইটিস ইত্যাদি টীকা নেওয়ার কারণে শিশুদের কান্নাকাটি করার রোগ হয়। তারা দিনে-রাতে, কারণে-অকারণে কাঁদতে থাকে, কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির সবার ঘুম হারাম করে ফেলে। এজন্য Thuja occidentalis নামক ঔষধটি সপ্তায় এক মাত্রা করে ছয় সপ্তাহ খাওয়ান। থুজাতে পুরোপুরি না সারলে বিকল্প হিসেবে Silicea, Vaccininum, Sulphur ইত্যাদি নামক ঔষধগুলোও খাওয়াতে পারেন।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Causticum – কষ্টিকাম

যারা অন্যের দুঃখ-কষ্ট দেখতে সহ্য করতে পারেন না, প্রতিবাদী স্বভাবের, অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে থাকতে পারেন না, ভুলো মন, দরজা লাগানো হয়েছে কিনা কিংবা চুলা নেভানো হয়েছে কিনা বারবার পরীক্ষা করেন, এই ধরনের লোকদের বিষন্নতায় কষ্টিকাম প্রযোজ্য।

Causticum – কষ্টিকামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো কাশি দিলে প্রস্রাব বেরিয়ে যায়, সকাল বেলা গলা ভাঙ্গা, বুকে প্রচুর কফ কিন্তু সেগুলো উঠানো যায় না, যেটুকু কফ উঠে তাও আবার ফেলতে পারে না বরং খেয়ে ফেলে, পেটে বা শরীরের বিভিন্ন স্থানে জ্বালাপোড়া করে, কাশি ঠান্ডা পানি খেলে কমে যায়, কাশি দিলে প্রস্রাব বেরিয়ে যায় ইত্যাদি। ইহার মানসিক লক্ষণ হলো অন্যের দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে পারে না।

Causticum – পোড়ার পরবর্তী যে-কোন জটিলতা নিরাময়ের জন্য কষ্টিকাম ব্যবহার করতে পারেন। অনেকে বলেন যে, “সেই পোড়ার ঘটনার পর থেকেই আমার এই সমস্যাটি দেখা দিয়েছে”- এসব সমস্যার চিকিৎসার ক্ষেত্রে কষ্টিকাম প্রয়োগ করুন।

Causticum – হাঁপানী রোগী একমাত্র দাড়িয়ে থাকলে আরাম পায়, লক্ষণে কষ্টিকাম প্রযোজ্য।

Causticum – মাসিক অনিয়মিত হওয়ার কারণে মৃগী রোগ হলে অথবা মেয়েদের প্রথম মাসিক শুরু হওয়ার বয়সে মৃগী রোগ হলে কষ্টিকাম প্রযোজ্য। তাছাড়া খোলা বাতাসে হাটার সময় পড়ে যায় আবার সাথে সাথেই ঠিক হয়ে যায়। অমাবশ্যার সময় যদি মৃগীর আক্রমণ হয় তবে কষ্টিকাম উপকারী। ঘুমের ভেতরে মৃগীর আক্রমণ হয় এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রস্রাব বেরিয়ে যায়।ইহার মানসিক লক্ষণ হলো অন্যের দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে পারে না।

Causticum – যারা নিজের চাইতে অন্যের দুঃখ-কষ্টে বেশী কাতর হয়ে পড়েন, তাদের জন্য কষ্টিকাম ( ৩০,২০০) ।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !