Author Archives: homeopathybd

Teucrium Marum verum – টিউক্রিয়াম

পেটে ব্যথার সাথে যদি মুখে পানি উঠতে থাকে, তবে কৃমির ঔষধ খাওয়া উচিত (যেমন- টিউক্রিয়াম)।

Teucrium : শিশুদের কান্নাকাটির কারণ থাকতে পারে পায়খানার রাস্তায় সুতাকৃমির উৎপাত। এজন্য পায়খানার রাস্তা যতটা সম্ভব ফাঁক করে দেখতে পারেন সুতাকৃমি দেখা যায় কিনা অথবা পায়খানা করে সময় খেয়াল রাখবেন পায়খানার সাথে কোন ধরনের কৃমি যায় কিনা । কৃমি পাওয়া গেলে Teucrium নামক ঔষধ দুটির যে-কোনটি রোজ দুইবেলা করে তিনদিন খাওয়ান।

Teucrium Marum verum : গুড়া কৃমি বা সুতা কৃমির সবচেয়ে ভালো এবং নিরাপদ ঔষধ হলো টিউক্রিয়াম। পায়খানার রাস্তায় ভীষণ চুলকানি থাকে।

Belladonna – বেলেডোনা

যে-কোনো তীব্র পেট ব্যথা যতক্ষণই থাকুক না কেন, যদি হঠাৎ আসে এবং হঠাৎ চলে যায়, তবে বেলেডোনা ঔষধটি খেতে থাকুন। বেলেডোনা’র ব্যথা সাধারণত শরীরের উপরের দিক থেকে নীচের দিকে যায়।

Belladonna – বেলেডোনা মৃগীর প্রথম দিকের আক্রমণে বেশী প্রযোজ্য। তাপ, লাল রঙ এবং জ্বালাপোড়া হলো বেলেডোনার তিনটি প্রধান লক্ষণ। যদি সারা শরীর গরম হয়ে যায়, মুখ লাল হয়ে যায় এবং শরীরে জ্বালাপোড়া হয়, তবে বেলেডোনা দিতে হবে। আলো, নড়াচড়া, গোলমাল এবং ঝাকুনিতে রোগের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়।

Belladonna – বেলেডোনা ঔষধটি ফোড়ার প্রথম দিকে ব্যবহার করতে হবে যখন ফোড়া মাত্র উঠেছে, আক্রান্ত স্থানটি গরম হয়ে আছে এবং লাল হয়ে ব্যথা করছে। বেলেডোনা ফোড়াতে পুঁজ হওয়া বন্ধ করে তাকে পাকতে দিবে না এবং তাকে বিসমিল্লাতেই খতম করে দিবে।

Belladonna – মজার মজার বিষয় কল্পনায় দেখে বা শোনে, ভীষণ ক্রুদ্ধ, হিংস্র চাহনি, রক্তচক্ষু, আঘাত করা বা কামড়ানোর প্রবনতা, কল্পনায় দৈত্য-দানব, ভূ-প্রেত, পোকা-মাকড় ইত্যাদি দেখা, আলোকভীতি, ভীতিকর স্বপ্নের জন্য ঘুমাতে না পারা, মসি-ষ্কের রক্তসঞ্চয় ইত্যাদি লক্ষণযুক্ত পাগলামীতে বেলেডোনা ঔষধটি অব্যর্থ। ৩, ৬ শক্তি দুই ঘণ্টা পরপর খাওয়াতে থাকুন।

 

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Dioscorea villosa – ডায়োস্কোরিয়া

ডায়োস্কোরিয়া’র পেটের ব্যথা পেটে চাপ দিলে অথবা সামনের দিকে বাঁকা হইলে বৃদ্ধি পায়। ডায়োস্কোরিয়া’র ব্যথা কিছুক্ষণ পরপর বৃদ্ধি পায় এবং পেট থেকে শরীরের বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে যায়। (শিশুদের কান্না-কাটি অথবা মেজাজ দেখানোর যদি কোন কারণ খুঁজে না পান, তবে নিশ্চিত ধরে নিতে পারেন তার পেটে ব্যথা হচ্ছে। কারণ দুধ এবং চিনি বেশী খাওয়ার কারণে তাদের পেটে গ্যাস এবং এসিডিটির সমস্যা থাকবেই। শিশুদের পেটের ব্যথা পেটে চাপ দিলে বাড়ে না কমে তা যদি বুঝতে না পারেন, তবে একবার Dioscorea এবং একবার Colocynthis দুটো ঔষধই একত্রে মিশিয়ে খাওয়াতে থাকুন)।

Colocynthis – কলোসিন্তু

পেটের ব্যথা যদি শক্ত কোন কিছু দিয়ে পেটে চাপ দিলে অথবা সামনের দিকে বাঁকা হলে কমে যায়, তবে কলোসিন্তু আপনাকে সেই ব্যথা থেকে মুক্ত করবে। কলোসিনে’র ব্যথা ছুরি মারার মতো খুবই মারাত্মক ধরণের। পেটের নাড়ি-ভূড়িকে মনে হবে কেউ যেন দুটি পাথর দিয়ে পিষতেছে।

Colocynthis: (যদি পেটে চাপ দিলে ব্যথা কমে) এবং Dioscorea (যদি পেটে চাপ দিলে ব্যথা বাড়ে) ঔষধ দুটির যে-কোনটি কিছুক্ষণ পরপর খাওয়াতে থাকুন। হ্যাঁ, শিশু যদি খুবই ছোট হয় যেমন দুয়েক দিন থেকে দু’য়েক মাস বয়স, তাদেরকে ঔষধ না খাইয়ে বরং তাদের মাকে খাওয়ানোই যথেষ্ট (যদি তারা বুকের দুধ খায়)। প্রয়োজনে পানিতে গলিয়ে খাওয়াতে পারেন।

Bromium – ব্রোমিয়াম

অত্যন্ত বিরক্তিকর কাচাঁ সর্দিতে ব্রোমিয়াম একটি মনে রাখার মতো ঔষধ। বিশেষত যাদের সর্দি, গলা ব্যথা, টনসিলের সমস্যা ইত্যাদি সারা বছর লেগেই থাকে।

Allium cepa – এলিয়াম সেপা

পেয়াজের রস থেকে তৈরী করা এলিয়াম সেপা নামক ঔষধটি (ক্লার্কের মতে) হোমিওপ্যাথিতে সর্দির সবচেয়ে ভালো ঔষধ। সর্দির সাথে যদি জ্বরও এসে যায়, তথাপি অন্য কোন ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন হবে না।

Glonoine – গ্লোনইন

কড়া রৌদ্রে থাকার কারণে মাথাব্যথা বা অজ্ঞান হলে গ্লোনইন দশ মিনিট পরপর খাওয়াতে থাকুন।

Glonoine – গ্লোনইন হলো বুকের ব্যথার এক নাম্বার ঔষধ যা সুনির্দিষ্ট কোন লক্ষণ ছাড়াই দেওয়া যায়। পাশাপাশি এটি হাই ব্লাড প্রেসারেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ।

Coffea cruda – কফিয়া

সুসংবাদ শুনে অজ্ঞান হলে কফিয়া ঔষধটি দশ মিনিট পরপর খাওয়ান।

Coffea cruda – অতিরিক্ত মানসিক উত্তেজনার জন্য কফিয়া (৩,৬,৩০,২০০)

Coffea cruda – মানসিক উত্তেজনা, উৎকন্ঠা, দুঃশ্চিন্তা থেকে অনিদ্রা দেখা দিলে তাতে কফিয়া প্রযোজ্য। সুসংবাদ শুনে, আনন্দের আতিষয্যে, শিশুদের দাঁত ওঠার বয়সে বা রাত জাগার কারণে অনিদ্রা হলে তাতে কফিয়ার কথা ভাবতে হবে। মহিলাদের সন্তান প্রসব পরবতী সময়ের অনিদ্রায় কফিয়া ভালো কাজ করে।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Phosphorus – ফসফরাস

বৈদ্যুতিক শক বা বজ্রপাতে অজ্ঞান হলে ফসফরাস দশ মিনিট পরপর খাওয়াতে থাকুন।

China officinalis – চায়না

অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে অজ্ঞান হলে চায়না ঘনঘন খাওয়াতে থাকুন।

China officinalis – ব্যথা যদি নির্দিষ্ট সময় পরপর একেবারে ঘড়ির কাটা কাটায় আসে, তবে তাতে চায়না প্রযোজ্য। ব্যথা পেটে চাপ দিলে কমে যায়। পেটে প্রচুর গ্যাস হওয়ার কারণে ব্যথা।

Hypericum perforatum – হাইপেরিকাম

দাঁত উঠানোর কারণে অথবা শরীরের কোন সেনসেটিভ জায়গায় (অণ্ডকোষ, মাথা, পাছার নিকটের কন্ডার হাড়, আঙ্গুলের মাথায় ইত্যাদি) আঘাত লাগার কারণে (ব্যথার চোটে) অজ্ঞান হলে হাইপেরিকাম ঘনঘন কয়েক মাত্রা খাওয়ান।

Carbo vegetabilis

কোনো মুমুর্ষ রোগী অত্যধিক রোগ যন্ত্রণার কারণে অজ্ঞান হয়ে গেলে কার্বো ভেজ ঔষধটি পাঁচ/দশ মিনিট পরপর খাওয়াতে থাকুন। ঔষধ মুখের/ ঠোটের ভেতরে রাখতে পারলেই চলবে অথবা ঘ্রাণের সাথে ব্যবহার করুন। যে-কোন বিপজ্জনক পরিস্থিতি সামলাতেও (অর্থাৎ অন্তিম মুহুর্তে) সাময়িক ভাবে Carbo vegetabilis অথবা Camphora ঔষধটি ব্যবহার করতে পারেন। এই দুইটি ঔষধকে বলা হয় হোমিওপ্যাথিক কোরামিন।

Ambra grisea – এমব্রা গ্রিসিয়া

যে-সব শিশু খুবই লাজুক, কেউ সামনে থাকলে পায়খানা করতে পারে না, তাদের কোষ্টকাঠিন্যে এমব্রা গ্রিসিয়া খাওয়ান।

Ambra grisea : এমব্রা গ্রিসিয়া ঔষধটি বৃদ্ধদের অথবা যারা অকাল বৃদ্ধদের মাথা ঘুরানিতে উপকার করে থাকে।

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Collinsonia canadensis – কলিনসোনিয়া

কলিনসোনিয়া কোষ্টকাঠিন্যের একটি শ্রেষ্ট ঔষধ যদি সাথে পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা এবং পাইলস থাকে।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Conium maculatum – কোনায়াম

শক্ত পায়খানা ত্যাগ করার পর যদি কেউ দুর্বল-ক্লানত হয়ে একেবারে বিছানায় শুয়ে পড়তে বাধ্য হয়, তবে এক্ষেত্রে কোনায়াম হলো তার কোষ্টকাঠিন্যের ঔষধ।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Lycopodium clavatum – লাইকোপোডিয়াম

লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রোগের মাত্রা বিকাল ৪-৮টার সময় বৃদ্ধি পায়, এদের রোগ ডান পাশে বেশী হয়, রোগ ডান পাশ থেকে বাম পাশে যায়, এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, এদের সারা বৎসর প্রস্রাবের বা হজমের সমস্যা লেগেই থাকে, এদের দেখতে তাদের বয়সের চাইতেও বেশী বয়ষ্ক মনে হয়, স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপ কিন্তু ব্রেন খুব ভালো, এরা খুবই সেনসিটিভ এমনকি ধন্যবাদ দিলেও কেদে ফেলে ইত্যাদি ইত্যাদি। উপরের লক্ষণগুলোর দু’তিনটিও যদি কোন রোগীর মধ্যে থাকে, তবে লাইকোপোডিয়াম তার কোষ্টকাঠিন্য সারিয়ে দেবে।

Lycopodium clavatum –   প্রস্রাবের সাথে যদি ইটের গুড়ার মতো পদার্থ যায়, তবে লাইকোপোডিয়াম খেতে হবে। এই ঔষধের অন্যান্য লক্ষণ হলো পেটে প্রচুর গ্যাস হওয়া, বিকেল ৪টা থেকে ৮টার সময় রোগের কষ্ট বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।

Lycopodium clavatum –   লাইকোপোডিয়াম ঔষধটি স্তনের আকার বৃদ্ধি করতে যথেষ্ট শক্তিশালী। এটি উচ্চশক্তিতে (শক্তি ১০,০০০) পনের দিনে একমাত্রা করে কয়েক মাত্রা খান। প্রয়োজনে আরো উচ্চশক্তিতে খেতে পারেন। সেবাল সেরুলেটার ফাঁকে ফাঁকেও খেতে পারেন।

Lycopodium : যে-সব শিশুরা সারাদিন কান্নাকাটি করে কিন্তু রাতে চুপচাপ থাকে তাদেরকে Lycopodium নামক ঔষধটি কয়েকবার খাওয়ান।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

Lycopodium clavatum – লাইকোপোডিয়াম Germany

Lycopodium clavatum – লাইকোপোডিয়াম Switzerland

Aloe socotrina

শক্ত এমনকি ছাগলের লেদির মতো পায়খানা। শিশুরা চেষ্টা করেও পায়খানা বের করতে পারে না। পায়খানার করার কথা বললে শিশুরা (ব্যথার কথা মনে করে) কাদতে শুরু করে। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো ঘুমের মধ্যে গোলাকার বলের মতো শক্ত শক্ত পায়খানা শিশুদের অজানে-ই বেরিয়ে যায় এবং বিছানায় পড়ে থাকে।

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

 

Silicea – সিলিশিয়া / সাইলিশিয়া

যদি এমন হয় যে পায়খানা অর্ধেকটা বের হওয়ার পরে আবার পুণরায় ভিতরে ঢুকে যায়, তবে এই ধরণের কোষ্টকাঠিন্যে সিলিশিয়া খাওয়াতে হবে। সিলিশিয়ার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো শরীর বা মনের জোর কমে যাওয়া, আঙুলের মাথায় শুকনা শুকনা লাগা, আলো অসহ্য লাগা, ঘনঘন মাথা ব্যথা হওয়া, চোখ থেকে পানি পড়া, মুখের স্বাদ নষ্ট হওয়া, মাংস্তচর্বি জাতীয় খাবার অপছন্দ করা, আঙুলের মাথা অথবা গলায় আলপিন দিয়ে খোচা দেওয়ার মতো ব্যথা, পাতলা চুল, অপুষ্টি ইত্যাদি।

Silicea – সাইলিশিয়া ঔষধটি কিডনী বা মূত্রথলির পাথরে ব্যবহার করতে পারেন বিশেষত যাদের বাতের সমস্যা আছে।

Silicea – সিলিসিয়া ঔষধটি যাদের হাড়ের বৃদ্ধিজনিত সমস্যা আছে অর্থাৎ রিকেটগ্রস্থলোকদের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। ইহার সতর্কীকরণ লক্ষণ (aura) পেটের উপরের অংশে শুরু হয়ে থাকে এবং শরীরের বাম পাশে শীত শীত বোধ হওয়া বা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া এই ঔষধের একটি উল্লেখযোগ্য সতর্কীকরণ লক্ষণ। মানসিক চাপ বা আবেগ-উত্তেজনার কারণে আক্রমণের সূচনা হয় এবং অমাবশ্যা-পূর্ণিমায় আক্রমণের মাত্রা বেড়ে যায়। এই ঔষধের মেরুদন্ডের সাথে সম্পর্কিত কোন না কোন রোগ লক্ষণ থাকবেই।

Silicea – (আত্মবিশ্বাসের অভাব, ইচ্ছাশক্তির বিকলতা) : যাদের নিজের যোগ্যতার উপর বিশ্বাস কমে গেছে, মনের জোর কমে গেছে বা আত্মবিশ্বাস হ্রাস পেয়েছে, তারা Silicea নামক ঔষধটি Silicea (10M) পনের দিন পরপর খান। (যেমন একজন চৌকস উকিল যিনি প্রচণ্ড দক্ষতায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে প্রতিপক্ষের উকিলকে পরাস্ত করে অধিকাংশ মামলায় বিজয় ছিনিয়ে আনতেন, তিনি এখন আদালতে দাড়াঁতেই ভয় পান। ভাবেন আগের মতো হয়তো এখন আর পারবেন না।)
Silicea – যেই ফোড়া পেকে অনেকদিন থেকে পুঁজ পড়তেছে কিন্তু সারতেছে না অথবা খুবই ধীরে ধীরে সারতেছে, এমন অবস্থায় সিলিশিয়া ঔষধটি প্রযোজ্য। সিলিশিয়ার পুঁজ থাকে পানির মতো পাতলা।

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !

 

Platinum metallicum – প্লাটিনাম

প্লাটিনামকে বলা হয় ভ্রমণকারী এবং পর্যটকদের কোষ্টকাঠিন্যের একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। কাজেই বলা যায়, আমাদের প্রাত্যাহিক জীবন যাপন প্রণালীতে কোন পরিবর্তনের কারণে যদি কোষ্টকাঠিন্য দেখা দেয়, তবে অবশ্যই প্লাটিনাম খাওয়া উচিত।

নিজেকে খুব বড় মনে করা, নিজেকে ব্যতীত সবকিছুকে গুরুত্বহীন মনে করা ইত্যাদি লক্ষণে প্লাটিনাম (২০০)।

 

 

সরাসরি online থেকে ঔষধ ক্রয় করুন !